নিজস্ব প্রতিবেদক: সারা দেশে বিস্তার ঘটেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর। রোববার রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ এলাকায় বৃষ্টি ছিল। এই বর্ষণমুখর অবস্থা ৩ থেকে ৪ দিন থাকতে পারে বলে রোববার জানায় আবহাওয়া অধিদফতর। এদিন আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলছেন, পঞ্জিকার পাতা ধরে বর্ষা আসবে সোমবার। ইতোমধ্যে আকাশ ছেয়ে গেছে মেঘের ভেলায়, বৃষ্টিও চলছে কোথাও কোথাও। এটা দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর (বর্ষা) প্রভাবে হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল হয়ে মৌসুমি বায়ু গত তিন দিনের মধ্যে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আগামী দুদিন বৃষ্টির প্রবণতা বাড়বে। বলা যায়, যথাসময়ে বর্ষা এলো। স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মাসের শেষ দিকে স্বাভাবিক বন্যার আভাস রয়েছে।’ তিনি জানান, মৌসুমি বায়ু এখন দেশের ওপর সক্রিয়। উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। সাগরে একটি লঘুচাপও ছিল কয়েক দিন আগে, এখন তা গুরুত্বহীন।
তবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে জুন মাসে তেমন বড় কোনো ঝড়ের শঙ্কা নেই। তবে মৌসুমি ভারী বর্ষণের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের কিছু স্থানে স্বল্পমেয়াদি বন্যার সৃষ্টি হতে পারে বলে চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘বর্ষার সময়ে উজানের ঢলে বন্যার শঙ্কা তো আছেই। স্বাভাবিক ও স্বল্প মেয়াদি এ বন্যা হতে পারে। ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে সংশ্লিষ্ট বাঁধ যাচাই ও সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।’ তিনি জানান, জুন-অক্টোবর বানের সময়। অভ্যন্তরীণ বৃষ্টিতে বন্যা হয় না। পাহাড়ি ঢলে দেশে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এদিকে রোববার সন্ধা ৬টা থেকে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।