খেলাধুলা নিউজ ডেস্ক :
১৯৯৩ সালে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক ওয়াসিম আকরাম। দুই বছর পর সেসময়কার সেরা বোলার খেলতে এসেছিলেন বাংলার মাটিতে। ১৯৯৫ সালে ঢাকা লিগে আবাহনীর হয়ে খেলেছিলেন তিনি।
তামিম ইকবালের লাইভে যোগ দিয়ে অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে সুলতান অব সুইং খ্যাত এই কিংবদন্তি বলেন, ‘আমার দেখার ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা কেমন।’
বর্তমানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তৎকালীন আবাহনীর কর্মকর্তা ছিলেন। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্বপালন করেছেন তিনি।
এই ক্রীড়া সংগঠকের হাত ধরেই ওয়াসিম আকরাম ঢাকা লিগে খেলতে এসেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে আছে কামাল ভাইয়ের কথা। তিনি ও তার পরিবার আমার অনেক ভালো বন্ধু। আমাকে খেলার জন্য তিনিই বলেছিলেন। যদিও আমি বলেছিলাম আমার সময় হবে না।
তখন তিনি আবারও বললেন, অবশ্যই আমার আবাহনী-মোহামেডানের ম্যাচে খেলা উচিৎ।’ ঢাকার চিরপ্র’তিদ্বন্দ্বী দুই দলের দ্বৈ’রথ দেখে অবাক হয়েছিলেন ওয়াসিম। ‘পাকিস্তানের ক্লাবগুলোতে বাংলাদেশের মতো আবেগ নেই। ফুটবল, হকি, ক্রিকেট এত আবেগ।’
ওই বছর ১৮ মার্চ ঢাকা স্টেডিয়ামে (বর্তমান বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম) ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে আবাহনীর জার্সিতে খেলতে নেমেছিলেন ওয়াসিম।
একই দলে ছিলেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, আকরাম খান ও খালেদ মাসুদ পাইলট। তিনজনই উপস্থিত ছিলেন তামিমের লাইভে।
ওয়াসিম বলেন, ‘আমার মনে হয় আকরাম আমার সঙ্গে খেলেছিলেন।’ আকরাম খান বলেন, ‘আমরা তিনজনই ছিলাম একাদশে।’
পুরো স্টেডিয়ামে এত মানুষ দেখে অবাক হয়েছিলেন পাকিস্তানের এই তারকা।
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘যারা এই ক্লাবগুলোর হয়ে খেলেছিলেন তাদের কাছে গল্প শুনতাম। কিন্তু নিজে খেলার পর দেখেছি ক্রিকেট এত জনপ্রিয় এখানে। যা আগে বুঝতেও পারিনি।’
এখনও এই অঞ্চলের খাবার ভুলতে পারেননি ওয়াসিম আকরাম। ‘বাংলাদেশ এখনও আমার খুব কাছের। তাইতো খাবার, মানুষকে মনে রেখেছি। মাছের ঝোল এখনও মনে আছে আমার।’ লাইভের আয়োজক তামিম ফিরে যান ১৯৯৯ বিশ্বকাপের স্মৃতিতে।
প্রথমবারের মতো বিশ্ব আসরে খেলতে গিয়ে ওয়াসিম নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬২ রানের জয় পেয়েছিল টাইগাররা। এর সুবাদে পরের বছর টেস্ট স্ট্যাটাসও পেয়ে যায় বাংলাদেশ দল। তামিম বলেন, ‘ম্যাচ হারার পরও আপনি যেভাবে বাংলাদেশ দলের ভালো বিষয়গুলো তুলে ধরেছিলেন তা সত্যি মনে রাখার মতো। সেসময় আপনাদের বোলিং আক্রমণ ছিল বিশ্বসেরা।’
জবাবে ওয়াসিম বলেন, ‘ক্রিকেটের দিক দিয়ে বাংলাদেশ সেদিন আমাদের তুলনায় ভালো খেলেছিল। টুর্নামেন্টে বেশিরভাগ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করেছিলাম আমরা। ওই ম্যাচে আমরা রান তাড়া করতে চেয়েছিলাম।
তারা ভালো বল করেছিল। বিশেষ করে স্লো মিডিয়াম পেসাররা সুইং করাচ্ছিল। সব মিলিয়ে তারা সেদিন ভালো ক্রিকেট খেলেছিল। তাই তাদেরকে সুনাম করতেই হয়।