দৈনিক প্রত্যায় ডেস্কঃ সরকার নির্ধারিত সময় এবং একাধিকবার তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর প্রতিশ্রুতির পরও মার্চ মাসের বেতন হয়নি ৩৭ হাজার পোশাক শ্রমিকের।
করোনাভাইরাসের দুর্যোগের দিনেও বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ৭৪টি কারখানার মালিক শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ করেনি। সারা মাস কাজের পর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এখন বেতনের দাবিতে আন্দোলন করছে তারা।
তৈরি পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর মতে, বর্তমানে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ২২৭৪টি কারখানায় মোট ২৪ লাখ ৭২ হাজার ৪১৭ শ্রমিক কাজ করছেন। ২৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময়ে ২২০০ কারখানার ২৪ লাখ ৩৫ হাজার ৪১৭ জন শ্রমিক মার্চ মাসের বেতন পেয়েছেন। অর্থাৎ এখনো পর্যন্ত ৭৪টি কারখানার ৩৭ হাজার শ্রমিকের বেতন দেওয়া হয়নি।
কারখানাগুলোর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ১৯টি, নারায়ণগঞ্জে ৯টি, গাজীপুরে ১৮টি, চট্টগ্রামে ১৮, আশুলিয়ায় ৭টি এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৩টি কারখানার মালিক তাদের শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করেননি।
পাওনা পরিশোধে গত ১৩ এপ্রিল এক বিবৃতিতে চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শ্রমিকদের মার্চের বেতন ১৬ এপ্রিলের মধ্যে পরিশোধ না করলে সংশ্লিষ্ট মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
সরকারের সাথে সম্মতি প্রকাশ করে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট প্রথম দফায় সবাইকে এপ্রিলের মধ্যে বেতন পরিশোধের আহ্বান জানান। কিন্তু প্রায় পাঁচ শতাধিক কারখানা মালিক সরকারের ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনাসহ সুবিধা নেওয়ার পরেও প্রায় ৩ লাখ শ্রমিকের বেতন-ভাতা পরিশোধ করেনি।
এরপর দ্বিতীয় দফায় বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, বেশির ভাগ বড় বড় প্রতিষ্ঠান মার্চের বেতন পরিশোধ করেছে। যারা বেতন দেননি তাদের অধিকাংশ ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান। তবে ২২ এপ্রিলের মধ্যে শতভাগ শ্রমিক মার্চ মাসের বেতন পাবেন।কিন্তু সেই সময়ে অতিক্রম হলেও এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজার শ্রমিক তাদের বেতন-ভাতা পায়নি। বেতন-ভাতার দাবিতে রাজধানীর মোহাম্মদপুসহ বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিনিয়ত চলছে বিক্ষোভ আন্দোলন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।