লকডাউন: দুই সপ্তাহ পর আন্তর্জাতিক রুটে বিমান চলাচল শুরু, যেসব দেশে আসা-যাওয়া করা যাবে
শনিবার বাংলাদেশ থেকে শর্তসাপেক্ষে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল আবার চালু হয়েছে। তবে দেশগুলোতে তিনটি ভাগে ভাগ করে যাত্রীদের চলাচলের আলাদা নিয়মকানুন ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পহেলা মে থেকে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল শুরু হবে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর লকডাউন শুরু হলে গত চৌদ্দই এপ্রিল থেকে আন্তর্জাতিক রুটে নিয়মিত বিমান চলাচল বন্ধ আছে।
কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে দেশগুলোর তালিকা দিয়ে বেবিচক বলছে, এক্ষেত্রে যাত্রী আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত পালন করতে হবে।
এ-ক্যাটেগরিতে যেসব দেশ রয়েছে, সেসব দেশে কেউ যেতে পারবেন না বা বিদেশি কেউ এসব দেশ থেকে আসতে পারবেন না। তবে যেসব অনাবাসী বাংলাদেশি অন্তত ১৫ দিন পূর্বে এসব দেশে গিয়েছেন, তারা বাংলাদেশে ফিরতে পারবেন, তবে তাদের দেশে ফিরে সরকার নির্ধারিত হোটেলে নিজ খরচে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। দেশে আসার আগেই হোটেল বুকিং নিশ্চিত করতে হবে।
এসব দেশের মধ্যে রয়েছে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কলোম্বিয়া, কোস্টা রিকা, সাইপ্রাস, জর্জিয়া, ভারত, ইরান, মঙ্গোলিয়া, ওমান, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং তিউনিসিয়া।
ক্যাটেগরি বি-তে যেসব দেশ রয়েছে, সেসব দেশের সকল নাগরিকরা বাংলাদেশে আসতে পারবেন। তবে এই দেশে আসার পর নিজেদের খরচে সরকার নির্ধারিত হোটেলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। দেশে আসার আগেই হোটেল বুকিং নিশ্চিত করতে হবে।
যাত্রীদের এসব দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।
এসব দেশের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রিয়া, আজারবাইজান, বাহরাইন, বেলজিয়াম, চিলি, ক্রোয়েশিয়া, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, হাঙ্গেরি, ইরাক, কুয়েত, ইটালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, নেদারল্যান্ডস, প্যারাগুয়ে, পেরু, কাতার, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইৎজারল্যান্ড, তুরস্ক এবং উরুগুয়ে।
বাহরাইন, কুয়েত ও কাতারের যাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে তিনদিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনেও থাকতে হবে।
গ্রুপ সি-তে রয়েছে এর বাইরের দেশগুলো, যেখানে রয়েছে আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, চীন, জাপান, কোরিয়া ইত্যাদি দেশ।
এসব দেশে যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে কোন বাধা নেই। তবে এসব দেশ থেকে যারা ফিরবেন, তাদের বাড়ীতে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। করোনাভাইরাসের কোন লক্ষণ দেখা দিলে তাদের হাসপাতালে পরীক্ষানিরীক্ষা করাতে হবে।
বাংলাদেশে আসা সকল যাত্রীদের (১০ বছরের নীচের শিশু ব্যতীত) করোনাভাইরাসের পিসিআর নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে। বিমান যাত্রার ৭২ ঘণ্টা পূর্বে এসব টেস্ট হতে হবে।
বিদেশগামী যাত্রীদের ক্ষেত্রে ওই দেশের নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
বাংলাদেশে চলাচলে বিধিনিষেধ ঘোষণার পর ১৪ এপ্রিল থেকে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। তবে ২৫শে এপ্রিল থেকে অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল শুরু করা হয়েছে।
২০২০ সালে সাধারণ ছুটির সময় টানা দুইমাস বাংলাদেশ থেকে কয়েকটি দেশ ব্যতীত আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ ছিল।