প্রত্যয় নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশসহ ৭টি দেশকে করোনাভাইরাসের ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করে এসব দেশে অবস্থানরতদের হংকং ঢুকতে শর্তারোপ করা হয়েছে। শনিবার এই আদেশ জারি করা হয়।
এই ৭ দেশ হল বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা।
এসব দেশ থেকে কেউ যদি ১৪ দিনের কম সময়ে হংকংগামী বিমানে উঠতে চান তবে তাকে অবশ্যই করোনাভাইরাস নেগেটিভ এর প্রমাণ দেখাতে হবে।
জুন মাসের ২০ তারিখ থেকে জুলাই মাসের ১৭ তারিখের মধ্যে হংকংয়ে বাইরে থেকে আসা ২৩৪ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
হংকং এর খাদ্য ও স্বাস্থ্য বিভাগের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। হংকংয়ে সীমিত কোয়ারেন্টাইন এবং আইসোলেশনের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে বাইরে থেকে যেন করোনা আক্রান্ত কেউ না আসতে পারে সেজন্য যথাযথ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।’
‘সর্বশেষ জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি মূল্যায়ন করে আমরা এই সিদ্ধান্তে এসেছি যে, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহ থেকে কেউ এসে যেন এখানকার নিরাপত্তা নষ্ট করতে না পারে সেজন্য ওইসব ভ্রমণকারীদের জন্য শর্ত জুড়ে দেওয়া উচিত’, তিনি যোগ করেন।
শর্ত হল নির্ধারিত বিমানে উঠার আগে সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সংগ্রহ করা নমুনা দিয়ে করোনাভাইরাসের জন্য নিউক্লিক এসিডের টেস্ট করা। হংকংয়ে পৌঁছে ওই টেস্ট করাতে হবে এবং রিপোর্টের জন্য নির্ধারিত স্থানে অপেক্ষা করতে হবে।
রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে হোটেলে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। আর রিপোর্ট পজিটিভ আসলে হাসপাতালে আইসোলেশন এবং চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে।
কেউ যদি ওই শর্তগুলো মানতে ব্যর্থ হন কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য দেন তাহলে তাকে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা গুণতে হবে এবং ছয় মাস জেল খাটতে হবে। সূত্র: গালফ টাইমস, দ্য স্টার
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন