নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী বেশ কিছু পণ্যে উৎসে আয়কর কমানোর প্রস্তাব করেছেন। ফলে এসব পণ্য ও সেবা গ্রহণে জনগণকে আগের তুলনায় কম খরচ করতে হতে পারে। বৃহস্পতিবার ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’ শিরোনামে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
উত্থাপিত এই বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চাল, আটা, আলু, পেঁয়াজ, রসুনের স্থানীয় পর্যায়ে সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে আয়কর কমানো হয়েছে। পাশাপাশি আমদানি করা চিনি ও রসুনের অগ্রিম আয়কর কমানো হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেট তুলে ধরতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসায়ীদের হাতে চলতি পুঁজির ঘাটতি লাঘবকল্পে এবং উৎসে করহার যৌক্তিকীকরণের লক্ষ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ কতিপয় পণ্যে আমি উৎসে আয়কর কর্তনের হার কমানোর প্রস্তাব করছি। বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমন-চাল, আটা, আলু, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি স্থানীয় পর্যায়ে সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে আয়কর কর্তনের সর্বোচ্চ হার পাঁচ শতাংশ, যা ভিত্তিমূল্য নির্বিশেষে দুই শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।
বর্তমানে স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত এম এস স্কাপ সরবরাহের উপর উৎসে আয়কর কর্তনের সর্বোচ্চ হার পাঁচ শতাংশ। স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত এম এস স্কাপ সরবরাহকারী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আর্থিক সক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবং লৌহ উৎপাদন শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে আমি স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত এম এস স্কাপের সরবরাহের উপর উৎসে আয়কর কর্তনের হার ভিত্তিমূল্য নির্বিশেষে দশমিক পাঁচ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করছি। বর্তমানে রসুন ও চিনি আমদানি পর্যায়ে পাঁচ শতাংশ অগ্রিম আয়কর সংগ্রহ করা হয়। আমি এই হার পাঁচ শতাংশ থেকে হ্রাস করে দুই শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব করছি। এছাড়া বর্তমানে হাঁস-মুরগির খাদ্য উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত কাঁচামাল আমদানি পর্যায়ে পাঁচ শতাংশ অগ্রিম আয়কর আরোপ করা হয়। পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে আমি এই অগ্রিম আয়কর আরোপ পাঁচ শতাংশের পরিবর্তে দুই শতাংশ প্রস্তাব করছি।’
সম্পদের টানাপোড়েনের মধ্যে বড় বাজেট দিলেন। আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৬ শতাংশ ঘাটতি ধরে ৫ লাখ ৬৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সংসদের অধিবেশন শুরুর পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমোদনক্রমে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। এটি দেশের ৪৯তম এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের দ্বিতীয় বাজেট।