প্রত্যয় ডেস্ক, বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সারাক্ষণ কথায় কথায় বিএনপি সম্পর্কে কথা বলেন। অথচ তারাই বলে দেশে বিএনপি বলে কিছু নেই। আপনারাই সমালোচনা করে বিএনপিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। আসলে বিএনপির ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতাদের মুখে কোন কথা বের হয়না। কারন আপনারা জানেন বিএনপিই একমাত্র শক্তি যারা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অপকর্মের প্রতিবাদ করতে পারে।
তিনি বুধবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে এক মত বিনিময় সভায় উপরোক্ত কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বিচার বিভাগকে ইঙ্গিত করে বলেন, একটা বসে আছে বিচার বিভাগ তাদের একমাত্র দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের হুকুম পালন করা। তারা “হোলিয়ার আরজেন্ট দ্যা কোপ” হয়ে যায় অনেক সময়। অনেক সময় দেখা যায়, তারা পুলিশের থেকেও বড় ভূমিকা পালন করে। বিচার বিভাগ থাকার পরও আমরা গত ১০ বছর ধরে হয়রানি হচ্ছি।
মির্জা ফখরুল ১৯৭২-৭৫ সময়কালীন সরকারের পট তুলে ধরে বলেন, কোনদিন এতো খারাপ অবস্থা ছিল না। তখন আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে যাওয়া যেতো, বিচার পাওয়া যেতো। কিন্তু অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে এখন কারো যাওয়া যায়না, বিচারও পাওয়া যায়না।
ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, সরকার যে কথায় কথায় বলে আমরা অমুক করেছে তমুক করেছি সেটা কোথায়?
তিনি আরো বলেন, ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলন একটি নৈতিকতার আন্দোলন। যারাই এ আন্দোলন করেছে আমরা সবাইকে সমর্থন দিয়েছি। আমরা নিজেরাও করেছি। এখন যারা প্রতিবাদ করছে তাদেরকে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা মারধর করছে । এটা কোন সরকারের কর্মকান্ড হতে পারেনা। এটা হচ্ছে পুরোপুরি একটা লিভ সার্ভিস।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মির্জা ফয়সাল আমিন সহ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাদেশে সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গা পূজা উপলক্ষে মির্জা ফখরুল বিএনপির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান। সেইসাথে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ভাতৃত্ব অটুট থাকবে।
তিনি বলেন, দ্রব্য মূল্য যদি বেড়ে যায় এবং মানুষের আয় কমে যায়। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষদের প্রকৃত আয় বহু কমে গেছে। আয় এবং ব্যয়ের মধ্যে যে গ্যাপ তৈরী হচ্ছে তা একটি ভয়াবহ বিষয়। ধনী ও গরীবদের বৈষশ্য আরো বাড়ছে। এখানে ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে। করোনর কারণে এবং বর্তমান সরকারের ধনীক শ্রেনীকে পুরোপুরি সহযোগিতা করার কারণে গরীব মানুষদের আয় কমে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, মেগা প্রজেক্ট গুলোতে চলছে মেগা দুনীর্তি যা কল্পনার বাইরে। স্বাস্থ্য বিভাগের একজন ড্রাইভার শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে। বাড়ি ঘর ইত্যাদির মালিক হয়েছে। অতীতে বাংলাদেশে এটা কখনও কল্পনাও করা যায়নি। অতীতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে করাপশন থাকলেও এখন করাপশন সার্বজনিন অবস্থায় গিয়ে পৌছেছে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হওয়ার জন্য ২/৩ লক্ষ টাকা খরচ করছে। এটা দেশের জন্য অশনি সংকেত। তারা সরকারের গরীব মানুষের যত উন্নয়ন কর্মকান্ড।প্রধানমন্ত্রী কর্তক করোনা কালীন প্রনোদনা প্রদান প্রক্রিয়া বিষয়ে বলেন, আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা সরকারের ২৫ শ টাকা প্রনোদনা পেলেও দুস্থ মানুষেরা সেসব প্রনোদনা পায়নি।