নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাডায় বাড়ি ক্রয় করেছেন কয়েক লাখ ডলারে। বাড়ি আছে অস্ট্রেলিয়াতেও। দেশের বাইরে বিভিন্ন ব্যাংকে রয়েছে অন্তত অর্ধশত কোটি টাকা। দুর্নীতি দমন কমিশনের জিজ্ঞাসাবাদে একে একে বেরিয়ে এসেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মচারি আবজাল হোসেনের এসব সম্পদের তথ্য। দুদক বলছে, ধারণার অনেক বেশি সম্পদ গড়েছে আবজাল। যা ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সহায়তা চাওয়া হয়েছে, চলছে আইনি প্রক্রিয়া।
কানাডার অন্টারিও প্রদেশের এক বাড়ির মালিক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চতুর্থ শ্রেণীর চাকরিচ্যুত কর্মচারী আবজাল হোসেন। তার দুর্নীতির ব্যাপারে দুদকের অনুসন্ধান শুরুর পর তড়িঘড়ি করে বিলাসবহুল বাড়িটি প্রায় ৪ লাখ কানাডিয়ান ডলারে বিক্রি করে দেন।
এখানেই শেষ নয়। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস অঙ্গরাজ্যের প্রেসটনস শহরেও আবজালের বাড়ি রয়েছে। জেলে থাকা অবস্থাতেই এই বাড়িটি বিক্রির চেষ্টা করছেন তিনি। তবে, দুদক তা আটকাতে আদালতের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছে।
এছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও মালয়েশিয়ায় ২০টি ব্যাংক হিসেবে আবজালের প্রায় ৫০ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই অর্থ পাচার করা হয়৷ একইসাথে সিডনিতে তিন প্রতিষ্ঠানে আবজালের সাড়ে ৩৪ কোটি টাকা বিনিয়োগেরও তথ্যও পেয়েছে দুদক। এসব অর্থ ফেরাতে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন৷
সাড়ে তিনশ’ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় রিমান্ডে এসব তথ্য পেয়েছেন দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা। জব্দ করা হয়েছে আবজাল দম্পতির নামে থাকা ২৫ টি বাড়ি, প্লট ও জমি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খুলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেনাকাটায় দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার এসব অবৈধ সম্পদ গড়ে তোলেন আবজাল হোসেন।