ব্যবসা বাণিজ্য ডেস্ক: চলতি বছরের শুরুতে বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের দাম ছিল বাড়তির দিকে। কিন্তু এখন করোনাভাইরাসকে ঘিরে খাদ্যপণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। কমেছে খাদ্যপণ্যে ভোক্তা। শুধু তাই নয়, কোনো কোনো পণ্যের দামের ক্ষেত্রে রীতিমতো ধস নেমে এসেছে। জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (ফাও) সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করেছে।
কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি খাদ্যপণ্যের দাম কমতির ব্যাপারে দারুণভাবে প্রভাব ফেলেছে। এ সময় খাদ্যপণ্যের তুলনায় বরং স্বাস্থ্য বিষয়ক পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আর বৃদ্ধির প্ওায়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, চাহিদা বেড়ে যাওয়া। পণ্যের মধ্যে গত মে মাসে চিনির দাম বেশ কিছুটা বেড়েছে। অথচ জানুয়ারি থেকে এই পণ্যটির দাম ছিল অনেক কম।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বর্তমান সময়ে চাল ছাড়া অন্যসব পণ্যের দামে মন্দাভাব দেখা যাচ্ছে। মে মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে চালের মূল্য আগের তুলনায় ১ শতাংশ বেড়েছে। তবে চালের মধ্যে বাসমতি চালের দাম বাড়তি রয়েছে। গত মাস থেকে গমের দাম নিম্নমুখী। আগের মাসের তুলনায় খাদ্যপণ্যটির দাম কমেছে ১৬ শতাংশ। মে মাসে সবচেয়ে বড় ধরনের পতনের মধ্যে ছিল ভোজ্য তেল। পণ্যটির দাম এখন গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কমে গেছে। আর পাম অয়েলের দাম তো ক্রমেই কমছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী টানা তিন মাস নিম্নমুখী রয়েছে দুগ্ধপণ্যের বৈশ্বিক বাজার। মাখনসহ সবধরনের দুগ্ধপণ্যের বাজার এখন মন্দা। তবে পরিস্থিতি বেশ কিছুটা উন্নতি হওয়ার ফলে চীনের কিছু দুগ্ধ ব্যবসায়ী গুঁড়ো দুধ রফতানি বাড়িয়েছে। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের আমিষ আমদানিতে মন্দা ভাব বিরাজ করছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিশ্বের শীর্ষ চিনি উৎপাদনকারী ভারত ও থাইল্যান্ডে চলতি মৌসুমে পণ্যটির উৎপাদন ব্যাপক হারে কমে যেতে পারে। তবে গত মাসে বৈশ্বিক চিনির বাজার ছিল একটু ব্যতিক্রম। চিনির দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হিসেবে কাজ করেছে ইথানল উৎপাদনের প্রবণতা। বিশ্বের শীর্ষ চিনি উৎপাদনকারী ব্রাজিলসহ অন্যান্য দেশ ইথানল উৎপাদনের দিকে ঝুঁকছে।