টানা চতুর্থবারের মতো এ বছরও বিশ্বের সুখী দেশের তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে ফিনল্যান্ড।
জাতিসংঘের অর্থায়নে পরিচালিত ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট শিরোনামের এই প্রতিবেদনে বিশ্বের ১৪৯টি দেশের মানুষকে তাদের সুখের রেটিং দিতে বলা হয়েছিল। এছাড়া জিডিপি, সামাজিক সহযোগিতা, ব্যক্তি স্বাধিনতা, দূর্নীতির পরিমাণ প্রভৃতির মাধ্যমেও প্রতিটি দেশকে সুখের নম্বর দেয়া হয়। এক্ষেত্রে বিগত তিন বছরের নম্বরের গড় করা হয়।
তালিকায় এবারও শীর্ষে রয়েছে ইউরোপের দেশগুলো। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে আইসল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস। নবম স্থানে থাকা নিউজিল্যান্ড তালিকার প্রথম দশটি দেশের মধ্যে একমাত্র অইউরোপীয় দেশ।
তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে ১৪তম স্থানে। যুক্তরাজ্য ও চীন রয়েছে যথাক্রমে ১৮ ও ১৯তম স্থানে।
এর আগের বছরের তুলনায় এ বছর মহামারির কারণে বিশ্বের মানুষের সুখে বেশ তারতম্য এসেছে। প্রতিবেদনের লেখকরা জানান, এ বছর এক তৃতীয়াংশ দেশে নেতিবাচক আবেগ অনেক বেড়ে গেছে। তবে ইতিবাচক আবেগ বেড়েছে ২২টি দেশে।
প্রতিবেদনের অন্যতম লেখক জন হেলিওয়েল বলেন, ‘আশ্চর্জজনক ভাবে মানুষের ভালো থাকার ব্যাপারটি কমেনি যখন নিজেদের জীবন নিয়ে তারা নিজস্ব মূল্যায়ন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এর সম্ভাব্য ব্যাখ্যা হতে পারে এই যে, করোনাভাইরাসকে মানুষ একটি সাধারণ, বহিরাগত হুমকি হিসেবে দেখেছে যা প্রত্যেককে আঘাত করতে পারে। আর এটি মানুষের মধ্যে বৃহত্তর পরিসরে একতা ও অন্যের প্রতি অনুভূতি তৈরি করেছে।’
প্রতিবেদনের আরেক লেখক জেফরি স্যাচস বলেন, ‘করোনাভাইরাস থেকে আমাদের জরুরিভিত্তিতে শেখার রয়েছে। অর্থবৈভবের চেয়ে আমাদের লক্ষ্য হতে হবে ভালো থাকার দিকে।’
ইউরোপে যে কয়টি দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেক কম হয়েছে তার মধ্যে ফিনল্যান্ড একটি। প্রতিবেদনের লেখকরা বলেন, ‘পারষ্পরিক আস্থার মাপকাঠিতে ফিনল্যান্ড অনেক উঁচু অবস্থানে রয়েছে যা মহামারির সময় তাদের জীবন ও জীবিকা রক্ষা করতে সহায়তা করেছে।’