কঠোর নজরদারিতে আনা হয়েছে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এতে কমে গেছে স্বর্ণ পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য। বৈধপথে স্বর্ণ আনার হার বেড়ে গেছে।
সেখানে কর্তব্যরত জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দাসহ (এনএসআই) তিনটি সংস্থার কঠোর নজরদারি বাড়ানোর কারণে বৈধপথে স্বর্ণের বারবাবদ শুল্ক আরোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সরকারের রাজস্ব আয়ও বেড়েছে।
জানা যায়, শুধু গত নভেম্বর মাসেই বৈধপথে স্বর্ণের বার আনাবাবদ ১৮ কোটি ৭৯ লাখ ২০ হাজার টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। এ বিমানবন্দর দিয়ে যাত্রীরা নভেম্বর মাসে ৯ হাজার ৩৬৭টি স্বর্ণবার বৈধপথে নিয়ে এসেছেন। এর আগে কখনোই একমাসে এত স্বর্ণের বার বৈধ করার নজির নেই শাহ আমানত বিমানবন্দরে।
এনএসআই, বিমানবন্দর টিম, কাস্টমস ও কাস্টমস ইন্টেলিজেন্সের তৎপরতায় স্বর্ণ চোরাচালানের বেশ কয়েকটি চালান আটক করলে অবৈধপথে স্বর্ণ আনার প্রবণতা কমে যায়।
সূত্রমতে, মূলত দুবাই থেকে আসা ফ্লাইটের যাত্রীদের ওপর নজরদারি বাড়াতেই স্বর্ণ বৈধ করার হার বাড়ছে। বেশ কয়েকটি চালান জব্দ হওয়া বিশেষ করে গত ১৫ অক্টোবর ১৬০ পিস অবৈধ বার জব্দ হওয়ার পর থেকে যাত্রীরা বৈধপথে স্বর্ণের বার নিয়ে আসছেন।
প্রসঙ্গত, যেকোনো যাত্রী ২০ হাজার ২০০ টাকা শুল্ক পরিশোধের মাধ্যমে একটি স্বর্ণের বার বৈধ করতে পারেন।