1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

ভয়ঙ্কর রুপে তিস্তা, জনমনে আতঙ্ক

  • Update Time : সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০২০
  • ১৬৯ Time View

দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যার কারণে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে তিস্তা। ভারত থেকে প্রচণ্ড গতিতে পানি নেমে আসায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কি পরিমান পানি আসবে বা পানি বৃদ্ধি পেতে পারে এমন কোনো তথ্য নেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছে।

এদিকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় রেড এলার্ট জারি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তিস্তা তীরবর্তী এলাকার লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সড়ে যেতে মাইকিংও করা হচ্ছে।

তিস্তা নদীর পানি নিয়ন্ত্রণ করতে হাতীবান্ধায় অবস্থিত দেশের বৃহতম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের সব গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এতে তিস্তা তীরবর্তী এলাকার হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দিসহ নদীর পানি হাতীবান্ধা শহরে প্রবেশ করছে। হাতীবান্ধা মেডিকেল-গড্ডিমারী-বড়খাতা বাইপাস সড়ক ও ভেরসি বাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ওই সড়ক বা বাঁধ ভেঙ্গে গেলে তিস্তা নদীর পানি হাতীবান্ধা শহরে প্রবেশ করবে।

জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর থেকে তিস্তা নদীর পানি তিস্তা ব্যারাজ দোয়ানী পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে। ওই দিন রাত ১২ টায় তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। এতে হাতীবান্ধা মেডিকেল মোড় থেকে গড্ডিমারী মেডিকেল মোড় হয়ে বড়খাতা বিডিআর গেট বাইপাস সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে শুরু করে।

শনিবার সকালে সেই পানি কমে বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করলে ওই দিন রাতে আবার বেড়ে যায় পানির গতি। রোববার দুপুরের পর থেকে দোয়ানী পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেতে থাকে। ওই দিন রাতে দোয়ানী পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে।

কয়েকদিন ধরে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা পাড়ের হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দির পাশাপাশি কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাদের মাঝে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছি। পানিবন্দি পরিবার গুলোর মাঝে ত্রাণ বিতরণ জরুরি হয়ে পড়লেও গত ৩ দিনেও সরকারি বা বেসরকারি ভাবে ত্রাণ বিতরণের কোনো কর্মসুচী দেখা যায়নি।

বন্যার কারণে শিশু ও বৃদ্ধার পাশাপাশি পশু পাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছে পানিবন্দি লোকজন। রান্নার চুলা ও পায়খানায় পানি প্রবেশ করায় তাদের দুর্ভোগের মাত্রা বেড়ে গেছে কয়েক গুন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র ডালিয়া শাখার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, এ বারের বন্যা একটু স্থায়ী হতে পারে। ফলে কয়েক দিন তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হবে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, ইউএনও ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে।

ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..