স্পোর্টস ডেস্ক: অনেক জল্পনার পর এশিয়া কাপ নিয়ে জটিলতা ঘুচেছে। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) দেওয়া হাইব্রিড মডেলেই হচ্ছে এশিয়ার টুর্নামেন্টটি। এতে যৌথ ভেন্যু প্রস্তুত করছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। পরে ভারতের মাটিতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপেও পাকিস্তানের অংশগ্রহণের বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চয়তা তৈরি হয়। তবে তার আগে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে।
এর আগে আসন্ন এশিয়া কাপের ভেন্যুকে কেন্দ্র করে যেন আরেকটা ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ দেখে ফেলল ক্রিকেট বিশ্ব। পাকিস্তানে গিয়ে ভারতের খেলতে না চাওয়া এবং তার জবাবে ভারত বিশ্বকাপ বয়কটের হুমকিতে টানা অনেকদিন ধরেই অস্থিরতা লেগে ছিল দক্ষিণ এশিয়ার ক্রিকেটে। তবে এখন মনে হচ্ছে বাবর আজমদের ভারতে যাওয়ার বিষয়টা এখন তাদের সরকারের হাতে।
গতকাল (২২ জুন) ইসলামাবাদে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বেলুচ সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে অংশ নেন। সেখানে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটের ব্যাপারে পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গি হলো, খেলাধুলার সঙ্গে রাজনীতি মেশানো উচিৎ নয়। পাকিস্তানে খেলতে না আসার যে নীতি ভারত দেখিয়েছে তা হতাশাজনক। পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে বিশ্বকাপে আমাদের অংশগ্রহণের সঙ্গে সম্পর্কিত সবকিছু আমরা পর্যবেক্ষণ করছি ও খতিয়ে দেখছি। আমাদের মতামত আমরা যথাসময়ে পিসিবিকে জানিয়ে দেব।’
২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের সূচি এখনও ঘোষণা করতে পারেনি আইসিসি। কারণ হিসেবে শোনা যাচ্ছে, পাকিস্তানের অংশগ্রহণ নিয়ে কোনো নিশ্চয়তা না পাওয়ার কথা। অথচ আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আসর শুরুর আর মাত্র তিন মাসের কিছু বেশি সময় বাকি। সাধারণত বিশ্বকাপের প্রায় এক বছর আগে সূচি ঘোষণা করা হয়ে থাকে। তবে কয়েকদিন আগে ভারতীয় বোর্ড বিসিসিআই আইসিসিতে বিশ্বকাপের একটি খসড়া সূচি জমা দিয়েছে।
গত বছর পররাষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত শাংহাই কো-অপারেশন সংগঠনের মিটিংয়ে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। যা গত ৯ বছরে প্রথম কোনো পাকিস্তানি জ্যেষ্ঠ নেতার ভারত গমন। তবে ২০১৬ সালেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে গিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট দল। সেই আসরের আগেও তাদের খেলা-না খেলা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা চলছিল।
আইসিসি ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) আয়োজিত আসর ছাড়া দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের ক্রিকেটে মুখোমুখি লড়াই বন্ধ রয়েছে গত এক দশক ধরে। তবুও উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তাদের ম্যাচগুলোর বেশিরভাগই নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হয়ে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় অনিশ্চয়তা চলে আসছে চলতি বছরের দুটি টুর্নামেন্টেও।