1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

ভাষা সৈনিকদের আত্মদান ও ত্যাগের মহিমা শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে – রাহুল গাজী

  • Update Time : মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৩৮২ Time View

রাকিব শান্ত, উত্তরবঙ্গ ব্যুরো প্রধানঃ মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় অত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলশ ঝুনুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ভাষাসৈনিক গাজীউল হকের পুত্র ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য রাহুল গাজী।

আলোচনা সভায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাহুল গাজী বলেন, মাতৃভাষা আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল এই বগুড়া থেকে। ১৯৫২ সালে বগুড়া আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছিলেন বাংলা ভাষার আন্দোলন করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে গিয়ে বঙ্গবন্ধু গাজীউল হকের রুমে থাকতেন। ভাষা আন্দোলনের আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হয়েছিলেন। ১৯৫২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে যখন ফরিদপুর কারাগারে পাঠানো হয় তখন তিনি চিঠি পাঠিয়েছিলেন গাজীউল হকের কাছে। রাষ্ট্রভাষা বাংলা ও সকল রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করার। যখন আন্দোলন তুঙ্গে উঠে তখন হটাৎ ২০ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা জারি করে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার। সেই ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার করার জন্য পুরান ঢাকার আওয়ামী মুসলিম লীগের কার্যালয়ে সভা হয়েছিল। সেই সভায় অনেকেই ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার বিরোধীতা করেছিলেন। সেই সভাতে ৪৫ মিনিট বক্তব্য দিয়েছিলেন ভাষাসৈনিক গাজীউল হক। সেই বক্তব্যের পর সিদ্ধান্ত হয় ২১ ফেব্রুয়ারি ছোট দলে দলে ভাগ হয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। ভাষা আন্দোলনে যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের তিনজন বগুড়ার। গাজীউল হক, এমআর আখতার মুকুল ও মোস্তাফা নুরুল ইসলাম। সেই সময় তাদের নেতৃত্বে শুরু হয়। ২১ ফেব্রæয়ারি সকাল থেকে শুরু হয় মিছিল ও স্লোগান। মিছিল শুরু হল। মিছিলে টিয়ার শেল ও গুলি করল পাক বাহিনী। টিয়ারশেলে আঘাতে জ্ঞান হারালেন গাজীউল হক আর গুলি লাগল বরকতকে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা গেলেন তিনি। এই আন্দোলন একদিনে দমে যায়নি। আন্দোলন চলল ২৬ ফেব্রুয়ারি অব্দি। তারপর আন্দোলন কমে এল। এরপর বঙ্গবন্ধু ১৯৫৩ সালের ঢাকার আরমানিটোলায় বিরাট জনসভায় গাজীউল হককে ভাষাসৈনিক ও বিপ্লবী ছাত্রনেতা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। এই ভাষা সৈনিকদের আত্মদান ও ত্যাগের মহিমা শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আহবায়ক সহকারী শিক্ষক রেজওয়ানা সাকির পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন কলেজ শাখা শিক্ষক প্রতিনিধি জ্যেষ্ঠ প্রভাষক শহীদুল ইসলাম, কলেজ ইনচার্জ সহকারী অধ্যাপক কাওছারীন খাতুন, সহকারী শিক্ষক শামীমা সুলতানা, কামাল পাশা।

মাতৃভাষা দিবসের কবিতা আবৃত্তি করেন প্রভাষক মাহমুদুল হাসান, সহকারী শিক্ষক আলামিন, ফুলবর রহমান, গান পরিবেশন করেন প্রভাষক আবুল বাসার, সহকারী শিক্ষক মহিদুল ইসলাম, রিপন কুমার সরকার। সহকারী শিক্ষক মেহেদী হাসানের উপস্থাপনায় আরও উপস্থিত ছিলেন আলোচনা সভার সদস্য সচিব রাকিব মন্ডল, এনামুল জাহিদ তিতাস সহ আরও অনেকে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..