নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও দেশে ফিরে না গিয়ে বাংলাদেশে থেকে যাওয়া প্রায় ৭০০ নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও বাংলাদেশে অবস্থান করছেন এমন প্রায় ৭০০ বিদেশি নাগরিক রয়েছেন। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দেশের নাগরিকদের মতো এ তালিকায় মিয়ানমারও রয়েছে। এসব নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। অ্যাম্বাসিগুলো তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিলে ভালো কথা। অন্যথায় তাদের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে অথচ বাংলাদেশে দূতাবাস নেই এমন নাগরিকদের বিষয়ে সেসব দেশের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হলে সরকারের অনুমতি লাগবে। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আইন রয়েছে। কোন ক্ষেত্রে সে অনুমতি না নিয়ে মামলা করা হলে সেটা বিচার বিভাগ দেখবেন। আমাদের কাছে এ ধরনের কোন বিষয় তুলে ধরলে বিচার বিভাগের পরামর্শ নিয়ে করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অন্যদিকে কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার বিষয়ে করা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আদালতের নির্দেশে তদন্তাধীন। তাৎক্ষণিকভাবে আমরা একটা তদন্ত করেছিলাম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি রিপোর্টটি পর্যালোচনা করবে। প্রতিবেদন নিয়ে পত্রিকায় কী এসেছে এবং তা কতটা ঠিক আমার জানা নেই। প্রতিবেদনটি পড়ার পরে সত্য-মিথ্যা নিয়ে বলতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, আদালতের নির্দেশনায় যে তদন্ত চলছে তা শেষ হওয়ার আগেই এটা পত্রিকায় কীভাবে প্রকাশ হলো সেটা আমার জানা নেই। যে প্রকাশ করেছে এবং যারা তথ্য সরবরাহ করেছে তারা কাজটি সঠিক করেনি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে আমরা তা দেখব। এছাড়া বিষয়টি র্যাব তদন্ত করছে। আমরা চাই না তাদের প্রতিবেদনের আগে কোন রিপোর্ট বের হয়ে তদন্তকে প্রভাবিত করুক। এটা বিচারকরাও চান না। তবে আদালত চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের করা রিপোর্টটি জমা দেওয়া হবে।