মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৩৪ অপরাহ্ন
ওয়েব ডেস্ক: ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দূতাবাসটির নিরাপত্তায় হঠাৎ যুক্ত হয়েছে ডিএমপির বিশেষায়িত সোয়াত টিম।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর বারিধারা এলাকায় দূতাবাসটিতে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও পুলিশের বাড়তি সদস্য সংখ্যা মোতায়ন করা হয়েছে। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এলাকায় ডিএমপির গুলশান বিভাগের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা নিজে উপস্থিত থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করছেন।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটায় ডিএমপির গুলশান বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আলী আহমেদ মাসুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এটা আমাদের রুটিন ডিউটি, মাঝেমধ্যে আমাদের মনে হলে নিরাপত্তা জোরদার করি। এখানে ডিএমপির সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট মোতায়েন আছে। এছাড়া আমিও দূতাবাসের সামনে আছি।
মার্কিন দূতাবাসকে কেন্দ্র করে বিশেষ কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে কিনা বা থ্রেট আছে কিনা— জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাঝেমধ্যে এ রকম মনে হয় না। আবার মনে হলে এটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়।
তবে পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনা করছিল একটি গোষ্ঠী। হামলা করতে পারে— এমন তিনজনের পরিচয় ইতোমধ্যে নিজস্ব তদন্তের বরাতে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। এই তিনজনের নামপরিচয় ঠিকানা ও ছবিসহ তথ্য পেয়েছে দূতাবাস। এই তিনজনই বাংলাদেশি নাগরিক। পরে দূতাবাসের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়। এছাড়া এই সন্দেহভাজন তিনজনের নামপরিচয় পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়।
গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা যায়, দূতাবাস কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ও হামলার হুমকির বিষয়ে ডিএমপিকে জানানোর পর পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) কর্মকর্তারা, ডিএমপির ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এবং গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারসহ ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা সোয়াতের টিম নিয়ে দূতাবাস এলাকায় যান এবং সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করেন।
এছাড়া সিটিটিসি কর্মকর্তারা দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের কাছে ওই সন্দেহভাজন তিনজনের নামপরিচয় ও ছবি তুলে দেওয়া হয়।
গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা যায়, সোমবার রাত ৯টার পর থেকে মার্কিন দূতাবাস এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারের কার্যক্রম হাতে নেয় পুলিশ। এককথায় নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয় মার্কিন দূতাবাস ও তার আশপাশের এলাকায়। দূতাবাস এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে। ডিএমপির সিটিটিসির সদস্যসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা সেখানের নিরাপত্তা জোরদার করেছে।