নিজস্ব প্রতিবেদক: বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এসে পৌঁছেছে। রবিবার (৪ অক্টোবর) সকালে বরগুনা কোর্টের জারিকারক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম পিকু এবং সুপ্রিম কোর্টের আদান-প্রদান শাখার কর্মকর্তা ফারুক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আইনতভাবে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকরের আগে হাইকোর্টের অনুমতির প্রয়োজন হয়। যা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে পরিচিত।
এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর রিফাত হত্যা মামলায় মিন্নিসহ ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড ও চার জনকে খালাস দেন আদালত। বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আছাদুজ্জামান। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা আসামিরা হলো, রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), হাসান (১৯) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)।
এছাড়াও এ মামলায় চার আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়। খালাসপ্রাপ্তরা হলো- মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)। দণ্ডপ্রাপ্ত রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, রিফাত হত্যা মামলায় ২৪ জনকে আসামি করে দু’টি ভাগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এর মধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৪ জন শিশু আসামি। ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনের সড়কে রিফাতকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ডের গ্রুপ। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। গত ২ জুলাই মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ক্রসফায়ারে নিহত হন। এরপর রিফাত হত্যা মামলায় মিন্নিকে আসামি দেখানো হয়। পরে মিন্নি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। তবে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর মিন্নিকে কারাগারে পাঠানো হয়।