দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃবুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মেঘনায় দুই যাত্রীবাহী লঞ্চের সংঘর্ষ হয়েছে। যদিও এ ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। দুই লঞ্চে প্রায় সহস্রাধিক যাত্রী ছিলেন। সোমবার মধ্যরাতে মেঘনা নদীর মিয়ারচর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুটি লঞ্চের সামনে আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা-কালাইয়া রুটে বন্ধন-৫ ও ঢাকা-গলাচিপা রুটে পূবালী-৫ যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করে। সোমবার বিকেলে যাত্রী নিয়ে বন্ধন-৫ ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে আর পূবালী-৫ গলাচিপা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। রাত ১২টার দিকে দুটি লঞ্চ মেঘনা নদীর মিয়ারচর চ্যালেন অতিক্রম করার সময় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনার সময় দুই লঞ্চে সহস্রাধিক যাত্রী ছিল। সংঘর্ষে দুটি লঞ্চের সামনের অংশ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্ধন-৫ লঞ্চের যাত্রী রুহুল আমিন বলেন, মাঝরাতে বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায় সব যাত্রীর। সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। মহান আল্লাহর ইচ্ছায় এবার বেঁচে গেলাম।
পূবালী-৫ লঞ্চের পরিদর্শক আবদুস সোবহান বলেন, ওই চ্যানেলে সাধারণত কম গতিতে আমরা লঞ্চ চালাই। কিন্তু দ্রুতগতিতে অতিক্রম করছিল বন্ধন-৫ লঞ্চটি। বারবার সিগন্যাল দেয়ার পরও বন্ধন-৫ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বন্ধন-৫ লঞ্চের পরিদর্শক শাহজাহান হাওলাদার বলেন, রঙ সাইড দিয়ে পূবালী-৫ লঞ্চটি ওই চ্যালেন অতিক্রম করার সময় সংঘর্ষ হয়। এতে আমাদের কোনো ত্রুটি ছিল না। ঘটনার পর দুটি লঞ্চ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে চলে যায়।
মঙ্গলবার ভোরে বন্ধন-৫ কালাইয়াঘাটে এবং পূবালী-৫ ঢাকা সদরঘাটে যাত্রীদের পৌঁছে দেয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুন রাজধানীর সদরঘাটের কাছে শ্যামবাজার এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে ‘এমভি ময়ূর-২’ এর ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘এমএল মর্নিং বার্ড’ পানিতে তলিয়ে যায়। সকালে মুন্সীগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে ঢাকার সদরঘাটের দিকে আসা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়। এই ঘটনায় ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন