স্পোর্টস ডেস্ক: লিওনেল মেসি আর ইন্টার মায়ামি যেভাবে ছুটছিল, তাকে রূপকথা ছাড়া অন্য কিছু বলার সাধ্য ছিল কই। একের পর এক ম্যাচে নিজের ঝলক দেখিয়েছেন মেসি। তাতে ইন্টার মায়ামিও ছুটেছে জয়ের পথে। লিগস কাপে শিরোপা, ইউএস ওপেন কাপের ফাইনাল সবমিলিয়ে শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। সেই জয়ের ধারায় এবার লাগাম টেনে ধরলো ন্যাশভিল।
ফ্লোরিডার ড্রাইভ পিংক স্টেডিয়ামে ঘরের মাঠে এদিন জয় পেতে ব্যর্থ হয়েছে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি। দারুণ অ্যাটাকিং ফুটবল খেলেও গোলশুন্য ড্র দিয়েই ম্যাচ শেষ করতে হয়েছে তাদের। পুরো ম্যাচে বেশিরভাগ সময়েই লাগাম নিজেদের কাছেই রেখেছিল টাটা মার্টিনোর শিষ্যরা। কিন্তু ন্যাশভিল ছিল সতর্ক। কদিন আগেই লিগস কাপের ফাইনালে মায়ামির কাছে হেরেছিল তারা। সেবারেও অবশ্য ৯০ মিনিটের খেলা ড্রতেই শেষ হয়। এবারেও দেখা গেল তেমন ফল।
এদিন ম্যাচের আগে নিজেদের সদ্য জয় করা লিগ কাপের শিরোপা সমর্থকদের সামনে নিয়ে আসে মায়ামির খেলোয়াড়রা। প্রত্যাশা ছিল এমন দিন জয় দিয়ে স্মরণীয় করে রাখা। কিন্তু তার আর হলো না। নিজেদের কনফারেন্সের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ন্যাশভিল এসসির বিপক্ষে ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে মায়ামি। আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রথমবারের মত জয় পেতে ব্যর্থ হলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মেসি।
পুরো ম্যাচেই নিজেদের জমাট রক্ষণের আস্থা রেখেছিল ন্যাশভিল। তাতে ফলও এসেছে। পুরো ম্যাচে গোটা ছয়েক শট নিয়েও গোল করতে পারেননি মেসি। প্রতিবারই আটকেছেন ন্যাশভিল রক্ষণের কাছে। অবশ্য শুধু মেসিই না। এদিন পুরো মায়ামির আক্রমণকেই প্রতিহত করেছেন লুকাস ম্যাকনটন-জ্যাক মাহেররা।
পুরো ম্যাচে ১৩ টি শট নিয়েছে মায়ামি। বল দখলে ছিল ৬৯ শতাংশ সময়। এমনকি পাসও খেলেছে বিপক্ষ দলের প্রায় তিনগুণ। কিন্তু ন্যাশভিলের প্রতিরোধের দেয়ালের সামনে এসব পরিসংখ্যান একেবারেই কাজে আসেনি মায়ামির।
এই ম্যাচের পর অবশ্য নিজের দলকে নিয়ে আরও কিছুটা ভাবনায় পড়তে হবে মায়ামি কোচ মার্টিনোকে। মেসির অফফর্মের দিনে তার দলের জয় নিয়ে ফেরা বেশ কঠিন, সেই অবস্থার উন্নতি নিশ্চয়ই চাইবেন তিনি।
এই ড্রয়ের পর এমএলএসের প্লে-অফের খেলার আশা কার্যত শেষ হয়ে গেল মেসির ইন্টার মায়ামির। ইস্টার্ন কনফারেন্সে ২৪ ম্যাচ শেষে ২২ পয়েন্ট নিয়ে ১৪তম স্থানে আছে তারা। প্লে-অফ খেলতে অন্তত নবম স্থানে যেতে হবে তাদের। নয়ে থাকা শিকাগো ২৬ ম্যাচে পেয়েছে ৩২ পয়েন্ট। আর সমান ম্যাচে ন্যাশভিলের সংগ্রহ ৩৯।