নিজস্ব প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে মোঃ রাব্বি মিয়া (১৫) নামের এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শুক্রবার (০৩ মার্চ) সন্ধ্যায় মোটর সাইকেল চোর সন্দেহে রাব্বিকে কুলিয়ারচর বাজার এলাকার জামিয়া আরাবিয়া নুরুল উলুম মাদ্রাসার সামনে হতে আটক করে উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে এনে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার সরোয়ার আলম ছরোর (৪৩) আদালতের জবানবন্দিতে এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে জানায় পিবিআই।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর দত্তের আদালতে আসামি সরোয়ার আলম ছরোর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার ওরাইল এলাকা থেকে সরোয়ার আলম ছরো (৪৩) ও কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার কুলিয়ারচর বাজার থেকে মোঃ আরজু মিয়াকে (৪৮) গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
গ্রেপ্তারকৃত সরোয়ার আলম ছরো কুলিয়ারচর উপজেলার পূর্ব গাইলকাটা এলাকার ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে ও মোঃ আরজু মিয়া কুলিয়ারচর উপজেলার বড়খারচর পশ্চিমপাড়া এলাকার তাহের মিয়ার ছেলে।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জ পিবিআই এর পুলিশ সুপার মোঃ শাহাদাত হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, চলতি বছরের মার্চ মাসের ৩ তারিখ সন্ধ্যায় নিহত রাব্বি তার বাজিতপুরের নিজ বাড়ি থেকে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে কুলিয়ারচর বাজারে আসে। ওইদিনই গ্রেপ্তারকৃত আসামি মোঃ সরোয়ার আলম ছরোর ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যায়। ওইদিকে কুলিয়ারচর বাজারে বেড়াতে আসা রাব্বিকে কুলিয়ারচর বাজার এলাকার জামিয়া আরাবিয়া নুরুল উলুম মাদ্রাসার সামনে থেকে মোঃ সরোয়ার আলম ছরো, মোঃ আরজু মিয়া, এমরান ও আকাশসহ কয়েকজন ধরে উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে নিয়ে এসে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাঁশের লাঠি ও কাঠের টুকরা দিয়ে বেধড়ক পেটায়।
পিবিআই পুলিশ সুপার আরো জানান, নির্যাতনের পর রাব্বি অজ্ঞান হয়ে গেলে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায় এবং সেখানে রাব্বিকে রেখে আসামিরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত ডাক্তার রাব্বিকে মৃত ঘোষনা করেন। রাব্বির বাবা মোঃ মির্জ আলী বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলাটি রুজু করে উপপরিদর্শক মোঃ সাইফুল্লাহ আকন্দের ওপর তদন্তভার অর্পন করেন। পরে চলতি বছরের মার্চ মাসের ৭ তারিখ পিবিআই এর পরিদর্শক মোহাম্মদ সাখরুল হক খানের ওপর মামলাটির তদন্তভার আসে।