দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ যশোরে দোকানপাটসহ সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা করলে বৃহস্পতিবার থেকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারবেন। খোলা যাবে হোটেল রেস্তোরাঁও। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। এক্ষেত্রে ক্রেতা এবং বিক্রেতা সবাইকেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
এছাড়া গণপরিবহণ আগের মতোই বন্ধ থাকবে। বুধবার দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ এসব সিদ্ধান্তের কথা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন।
যশোর সার্কিট হাউজে বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত চলে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির সভা। সভায় জেলা প্রশাসক ছাড়াও পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, করোনা সংক্রান্ত সেনা তৎপরতায় যশোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লে. কর্নেল নেয়ামুল, সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন, জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপকুমার রায়, যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে জেলা প্রশাসক জানান, ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা করলে দোকানপাট খুলতে পারবেন, তবে প্রত্যেক দোকানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। ব্যক্তিগত দূরত্ব বজায় রাখায় বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে গত ২৭ এপ্রিল যশোর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শফিউল আরিফ। এর প্রায় দুই সপ্তাহ পর সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ১০ মে দোকানপাট খুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ঈদবাজারে মানুষের চাপ ক্রমাগত বাড়তে থাকায় এবং ক্রেতা-বিক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি না মানায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাহী আদেশ জারি করে ১৯ মে থেকে আবার দোকানপাট বন্ধ করে দেন। সেই আদেশ প্রত্যাহার করে আজকের সভায় বৃহস্পতিবার থেকে আবার দোকানপাট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলো।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন