1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : Rakibul Hasan Shanto : Rakibul Hasan Shanto
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

যে কারণে নেককার ব্যক্তির কান্না ও দোয়া কবুল হয় না

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল, ২০২১
  • ২৬২ Time View

সফল সেই ব্যক্তি, যার দোয়া ও চোখের পানি আল্লাহর দরবারে কবুল হয়। কিন্তু আল্লাহর এমন কিছু নির্দেশনা রয়েছে যা পালন না করলে নেককার ব্যক্তির দোয়া এবং চোখের পানি আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না। দোয়া ও কান্না কবুল না হওয়ার সেই কারণগুলো কী?

আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার প্রতি নির্দেশ ও উপদেশ হচ্ছে, ভালো কাজ করা এবং অন্যায় থেকে বিরত থাকা। যারা এমনটি করবে তারাই হবে সফল। যারা এর ব্যতিক্রম করবে তারাই হবে ধ্বংস। আল্লাহ তাআলা বলেন-

‘আর তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকা উচিত যারা ভালো কাজের আহবান জানাবে, সৎ কাজের নির্দেশ দেবে এবং অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ করবে। আর তারাই হলো সফলকাম।’ (সুরা ইমরান : আয়াত ১০৪)

পক্ষান্তরে যারা আল্লাহর নির্দেশিত এ তিনটি কাজ করবে না, আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের ওপর নেমে আসবে ধ্বংস এবং অত্যাচারী শাসকের শোষণ শুরু হবে। এমনকি ওই জাতির মাঝে যদি কোনো নেককার লোকও থাকে, আর তারা এ ধ্বংস কিংবা জুলুম থেকে বাঁচার জন্য দোয়া করে, আল্লাহ তাআলা তাদের দোয়া ও কান্নাকাটি কবুল করবেন না।

হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরআনুল কারিমের এ নির্দেশনার বিষয়গুলো উল্লেখ করেছেন। আবার যারা এর বিপরীতে অবস্থান করবে তাদের পরিণতি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন এভাবে-
হজরত হুজাইফা ইবনে ইয়ামান রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা অবশ্যই ভালো কাজের আদেশ করবে, অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ করবে, অন্যথায় আল্লাহ যে কোন আজাবে তোমাদের সবাইকে ধ্বংস করবেন কিংবা তোমাদের উপর শাসনকর্তা নিয়ুক্ত করে দেবেন। এ সময় তাদের মধ্যকার নেককার লোকেরা (ধ্বংস ও জুলুম থেকে) মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া ও কান্নাকাটি করবে কিন্তু তাদের দোয়া আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না।’ (মুসনাদে আহমাদ)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, ধ্বংস ও জুলুম থেকে বাঁচার জন্য ভালো কাজ করা। অন্যায় কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা। অন্যকে ভালো কাজের প্রতি উৎসাহিত করার পাশাপাশি অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা। তবেই নেককার ব্যক্তির দোয়া ও চোখের পানি ব্যর্থ হবে না। দুনিয়া ও পরকালে পাবে সফলতা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ভালো কাজ করার তাওফিক দান করুন। অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আল্লাহর ধ্বংস ও জালেম শাসকের অত্যাচার থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। কুরআন-সুন্নাহর ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..