প্রত্যয় নিউজডেস্ক: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে নিয়ে ‘অসত্য’ বক্তব্য দেয়ায় সংসদ এলাকায় নিষিদ্ধ হওয়া মো. আতর আলীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সংসদের চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা সমিতির সাবেক এই সভাপতির সংসদে যাওয়ার পরিচয়পত্রও জব্দ করা হয়েছে।
এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর তার পরিচয়পত্র জমা দেয়ার জন্য চিঠি দেয়া হয়। সংসদের ডেপুটি সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন্স) এস এম সিরাজুল হুদা তার আইডি কার্ড জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। এরপর আতর আলী লোক মারফত গতকাল বুধবার পরিচয়পত্র জমা দেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সরকারি চাকরিজীবী হয়েও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিত্বকে নিয়ে অসত্য বক্তব্য দেয়ায় তাকে সংসদ এলাকায় নিষিদ্ধ করা হয়। এমনকি তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না সে বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। সংসদের একাধিক সূত্র ও আতর আলীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
গত ৬ সেপ্টেম্বর সংসদের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ খালেদুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। সেখানে তাকে লেখা হয়, ‘আপনি গত ১৭ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ সচিবালয় আয়োজিত আলোচনা সভা দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে অসত্য বক্তব্য দেন। যেহেতু বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের সকল ব্যক্তির ঊর্ধ্বে স্থান লাভ করেন, কোনো ব্যক্তির পক্ষে তার সম্পর্কে প্রকাশ্যে কোনো অসত্য বক্তব্য প্রদান করা দেশের সংবিধান পরিপন্থী।’
এ বিষয়ে মো. আতর আলী বলেন, ‘ওই বক্তব্য দেয়ার কারণে আমাকে সংসদ এলাকায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমি কী আর করব? কপালে যে দুর্ভোগ আছে তাই হবে। কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার পরদিনই আমি জবাব দিয়েছি।’
ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংসদের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘অনুষ্ঠানটি সংসদের শপথ কক্ষে হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ভার্চুয়ালি তাতে অংশ নেন। কর্মচারীদের পক্ষ থেকে আতর আলী বক্তব্য রাখেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ স্পিকার থাকার সময় এ ধরনের অনুষ্ঠান হয়নি বলে অসত্য তথ্য দেন আতর আলী। এছাড়া অনেক নেতিবাচক কথা বলেন তিনি, যা অসত্য। এজন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’