বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার নবনিযুক্ত হাইকমিশনার হাজনাহ বিনতি মো. হাসিম, শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার সুদর্শন দিপাল সুরেশ সেনেভিরান্তে ও মিশরের রাষ্ট্রদূত হাইথাম গোবাসি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নতুন দূতগণ বঙ্গভবনে এসে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করেন। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এ কথা জানান।
নতুন দূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও মিশরের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশসহ বিশ্বের সকল দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার দেয়। রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন নতুন দূতগণ দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশের সাথে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, ওষুধ, সিরামিকস, পাট ও পাটজাত পণ্যসহ বিশ্বমানের বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করে। রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ থেকে এসব পণ্যের আমদানি বাড়ানো এবং জ্বালানি, যোগাযোগ ও অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও মিশরের প্রতি আহ্বান জানান।
করোনার কারণে বিশ্ব চরমভাবে বিপর্যস্ত উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের সকল দেশ যাতে একই সময়ে করোনার ভ্যাকসিন পায় সে ব্যাপারে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ সকল দেশকে উদ্যোগ নিতে হবে।
করোনা মোকাবিলায় সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ নিতে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ বিশ্বের সকল দেশের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
সাক্ষাৎকালে মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও মিশরের রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা বাংলাদেশের সাথে তাদের দেশের বিদ্যমান সম্পর্ক জোরদারে সার্বিক প্রয়াস অব্যাহত রাখবেন। তারা দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
দূতগণ করোনা মোকাবিলা এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমেরও প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়েরর সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান, প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।