নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে ফিলিপাইনের জোরালো ভূমিকা প্রত্যাশা করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন ফিলিপাইন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া দেশগুলোর জোট আসিয়ানেও এ ব্যাপারে জোরালো ভূমিকা রাখবে। আজ বুধবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত ভিনসেনটি ভিভনিসিও টি. বেনডিলিও বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতকালে তিনি একথা বলেন। ফিলিপাইনের বিদায়ি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে সার্বিক সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ফিলিপাইনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম সারির দেশগুলোর অন্যতম ফিলিপাইন উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রেও ফিলিপাইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ পোশাক, ওষুধসহ বিশ্বমানের বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করে এবং এসব পণ্যের দামও তুলনামূলক কম। ফিলিপাইন এসমস্ত পণ্য আমদানির মাধ্যমে লাভবান হতে পারে।
রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে খোয়া যাওয়া অর্থ উদ্ধারে সহায়তার জন্য ফিলিপাইন সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানান এবং অবশিষ্ট অর্থ উদ্ধারেও ফিলিপাইনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ এবং ফিলিপাইনের মধ্যে নার্সিং ও কৃষি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এর ফলে পারস্পরিক সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি পাবে এবং উভয় দেশই এর মাধ্যমে উপকৃত হবে। রাষ্ট্রপতি এ সময় সফলভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য ফিলিপাইনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।