নোয়াখালী প্রতিনিধি: লিবিয়ায় দালাল চক্রের হাতে এখনও জিম্মি রয়েছে নোয়াখালীর বেশ কয়েকজন যুবক। মুক্তিপনের টাকা জোগাড় করতে পারেনি তাদের দরিদ্র পরিবার। অভুক্ত রেখে প্রতিদিন নির্যাতন চালানো হচ্ছে জিম্মিদের ওপর। দিশেহারা পরিবারগুলো স্বজনদের উদ্ধারে সরকারের হস্তক্ষেপ চাইছে।
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার নবগ্রামের রিক্সাচালক নুর আলম। পরিবারে স্বচ্ছলতার আশায় ছেলেকে ইতালি পাঠানোর জন্য ছ’লাখ টাকায় চুক্তি করে দালাল মহিনের সাথে। পরে কৃষি জমি বন্ধক রেখে টাকা যোগাড় করেন। ছেলে আলাউদ্দিন লিবিয়া যাওয়ার পর দালালচক্র তাকে জিম্মি করে আরও সাত লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় শুরু হয় নির্যাতন।
একই অবস্থা জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার জিরতলী ইউনিয়নের মাসুদের। তিন মাস ধরে সে জিম্মি লিবিয়ায়। দু’দফায় ৭লাখ টাকা দিয়েও মেলেনি মুক্তি। টাকা আদায় হলে, এক দালাল জিম্মি থাকা ব্যক্তিকে বিক্রি করে দেয় আরেক দালালের কাছে। বিদেশ যাওয়া এমন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায়, সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন নোয়াখালীর অনেক অভিভাবক।
নোয়াখালী জেলা অপরাধ তদন্ত বিভাগের ( সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার মো: বশির আহমেদ জানান, ইন্টারপোলের সাহায্যে লিবিয়ায় আটক বাংলাদেশিদের উদ্ধারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে । জেলার জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কার্যলয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ থেকে ২০২০ পর্যন্ত জেলার সাড়ে তিন লাখ লোক বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।