শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:২৪ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন ভেনেজুয়েলার সাবেক বিরোধী দলীয় নেত্রী মারিয়া কানারো মাচাদো। গতকাল শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে নরওয়ের নোবেল কমিটি।
তিনি নোবেল পাওয়ার পর ‘কোডপিংকের’ লাতিন আমেরিকা ক্যাম্পেইন কর্ডিনেটর ও জন্মসূত্রে ভেনেজুয়েলার নাগরিক মিচেলে এলনার ‘কমন ড্রিমসে’ একটি মতামত কলাম লিখেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘মারিয়ার মতো ডানপন্থিরা যখন নোবেল শান্তি পুরস্কার জেতে তখন শান্তির আসলে কোনো অর্থ হয় না।’
‘গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী’ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচয় পাওয়া মারিয়া কানারো মাচাদো এখন পর্যন্ত কি কি করেছেন। সেগুলোর একটি তালিকা দিয়েছেন। এতে তিনি উল্লেখ করেছেন—
ইসরায়েলের প্রকাশ্য সমর্থক এবং নেতানিয়াহুর ভক্ত
জর্ডানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রোয়া নিউজ জানিয়েছে, শান্তিতে নোবেল জয়ের পর মারিয়ার একটি সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয়েছে। যেটি তিনি এক ইসরায়েলি টিভিকে দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি গর্বের সঙ্গে বলেন, “আমি বিশ্বাস করি এবং আমি ঘোষণা দিচ্ছি, ইসরায়েলের সমর্থনে আমাদের দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করা হবে।”
এছাড়া ২০১৮ সালে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কাছে একটি চিঠি লেখেন তিনি। যেখানে ভেনেজুয়েলায় নিকোলাস মাদুরোর সরকারকে উৎখাত করতে ইসরায়েলকে সামরিক হামলা চালানোর আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া গাজায় ইসরায়েল যে বর্বরতা চালিয়েছে সেটির পক্ষে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেছিলেন মারিয়া।
নোবেল জয়ের পর মারিয়া তার পুরস্কার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উৎস্বর্গ করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে মারিয়ার বেশ সুসম্পর্ক রয়েছে। যিনি আত্মগোপনে থেকে ভেনেজুয়েলার সরকারের বিরুদ্ধে বিদেশি সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও মারিয়াকে তিনি বলেছিলেন, “মারিয়া হলেন স্থিতিস্থাপকতা, দৃঢ়তা এবং দেশপ্রেমের মূর্ত প্রতীক।”
২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের পর মারিয়াকে গ্রেপ্তার করেছিল ভেনেজুয়েলার সরকার। ওই সময় ট্রাম্প নিজে তার মুক্তির জন্য সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন।
সূত্র: কমন ড্রিমস, রোয়া নিউজ, বিবিসি