প্রত্যয় নিউজডেস্ক: সাভারের আশুলিয়ায় মাদরাসার এক শিশু (৮) শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে মাদরাসায় তালা লাগিয়ে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল আজিজ।
তবে মাদরাসাটির ভবন মালিকের বিরুদ্ধে ওই শিক্ষককে পালাতে সহায়তার অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) গাজীরচট আয়নাল মার্কেট এলাকার দারুল কুরআন নূরানী হাফিজিয়া মডেল মাদরাসায় এই ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যায় বিষয়টি জানাজানি হয়।
ভুক্তভোগী শিশুটির মা একজন গার্মেন্ট শ্রমিক। তিনি জানান, আয়নাল মার্কেট এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে তিনি গার্মেন্টে চাকরি করেন। তার স্বামী পেশায় একজন রিকশাচালক। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকাল ৭টায় তাদের ছোট্ট মেয়েকে ওই মাদরাসায় রেখে কাজে চলে যান তারা। পরে সন্ধ্যায় মেয়েকে বাসায় নিয়ে গেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সে।
রিকশাচালক বাবা জানান, সন্ধ্যার পর সবার ছুটি হয়ে গেলে তার মেয়েকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ কক্ষে নিয়ে যান শিক্ষক আব্দুল আজিজ। পরে তার মেয়েকে ধর্ষণচেষ্টা করেন ওই শিক্ষক। কিন্তু লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে শিশুটিকে বাসায় পাঠিয়ে দেন শিক্ষক আজিজ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, ওই মাদরাসা শিক্ষকের কু-কীর্তি জানাজানির পর বাড়িওয়ালা আব্দুর রাজ্জাক ও স্থানীয় মাদবররা অভিযুক্ত শিক্ষককে বাড়ির একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন। কিন্তু পরে বাড়ির মালিক তাকে কৌশলে ছেড়ে দেন।
এ ব্যাপারে বাড়ির মালিক আব্দুর রাজ্জাক খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এমনকি পলাতক অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষকের পরিচয় জানাতেও অস্বীকৃতি জানান তিনি।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজর আলী জানান, ওই শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। একইসঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।