প্রত্যয় নিউজডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারি স্টিফেন এডওয়ার্ড বিগান তিনদিনের সফরে বুধবার বিকেলে ঢাকায় আসছেন। এর আগে তিনি সোমবার থেকে নয়াদিল্লি সফর করছেন। আজ নয়াদিল্লি থেকে বিশেষ ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় আসবেন।
উল্লেখ্য, স্টিফেন বিগান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের দ্বিতীয় শীর্ষ ব্যক্তি। যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) মাইক পম্পেওর পরই তার অবস্থান। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো শীর্ষ কর্মকর্তার এটিই প্রথম বাংলাদেশ সফর।
ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র গত শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ‘জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারী পুনর্ব্যক্ত করতে ডেপুটি সেক্রেটারি বিগান বুধবার থেকে শুক্রবার বাংলাদেশ সফর করবেন।’
মুখপাত্র জানান, ডেপুটি সেক্রেটারি বিগানের বাংলাদেশ সফরের উদ্দেশ্য সবার জন্য সমৃদ্ধি অর্জনে একটি অবাধ, উন্মুক্ত, অংশগ্রহণমূলক, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের বিষয়ে অভিন্ন পরিকল্পনা এবং কভিড-১৯ মোকাবেলা ও এর প্রভাব কাটিয়ে ওঠার প্রচেষ্টা এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সহযোগিতাকে এগিয়ে নেওয়া।
জানা গেছে, বিগান বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ হতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন গত সোমবার ঢাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তার সফরে রোহিঙ্গা সংকট, ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি, ভিসা সমস্যাসহ সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হতে পারে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, সংক্ষিপ্ত এ সফরের গুরুত্ব অনেক। এ সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে। তবে এমন এক সময় তিনি এ সফর করছেন যখন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের প্রায় তিন সপ্তাহ বাকি। এ সময় মার্কিন প্রশাসন বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না।
জানা গেছে, ডেপুটি সেক্রেটারি বিগান নয়াদিল্লিতে ভারতের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি ইন্ডিয়া-ইউএস ফোরামে প্রধান বক্তা হিসেবে মূল বক্তব্য দেন।
গত ৬ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট মাইক পম্পেওর সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের বৈঠকের পরপর এবং এই বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠেয় যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মন্ত্রিপর্যায়ের সংলাপের প্রাক্কালে ডেপুটি সেক্রেটারি বিগানের এই ভারত সফরে ইউএস-ইন্ডিয়া কমপ্রিহেনসিভ গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ (যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সমন্বিত বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারী) এগিয়ে নেওয়া এবং কিভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলসহ বিশ্বজুড়ে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং নিরাপত্তাকে এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করতে পারে তার ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।