শিক্ষা, গবেষণা, সম্প্রসারণ ও উদ্যোক্তা ভিশন নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমে সঠিক কাজটি করতে পারলে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) সত্যিকারের ‘Centre for Excellence’ করে তোলা সম্ভব বলে মত দিয়েছেন বক্তারা।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) ‘আগামীর বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নতুন প্রশাসন: আগামীর ভাবনা ও কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেশনে তারা এ মতামত জানান। এতে উপস্থাপনা করেন সহকারী অধ্যাপক আবু জাফর আহমেদ মুকুল।
সভায় শেকৃবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মান সকলের প্রচেষ্টার টিমওয়ার্কের ফলাফল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও সম্প্রসারণের মান উন্নয়নের জন্য সকলের সহযোগিতা চাই।
শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার মূল্যায়ন পদ্ধতির প্রয়োগের পরিবর্তনের জন্য অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ওপর নির্ভরতার কথা উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়া শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশ ভারতের উদাহরণ টানেন।
শেকৃবি কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান প্রশাসন গবেষণার জন্য শিক্ষকদের উদ্বুদ্ধ করতে বিশেষ সম্মাননার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
তিনি বলেন, হল ও অনুষদের ফ্লোরগুলো সকলের ব্যবহার উপযোগী করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হবে।
সাবেক শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, সঠিকভাবে শিক্ষক নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব দেয়া দরকার। পাশাপাশি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কৃষির প্রয়োগিক জ্ঞান বাস্তবায়ন করতে হবে।
শেকৃবির অ্যালামনাই ও উদ্যোক্তা কে এস মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কৃষি অনুষদের গ্র্যাজুয়েটদের ব্যবসায় ও তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্বলিত কারিকুলাম অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।
তিনি শেকৃবিকে Centre for Excellence করার লিখিত পরিকল্পনা, কৌশল বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও ইন্ড্রাস্ট্রি লিঙ্কেজ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়ার জন্য প্রশাসনকে আহ্বান করেন।
বাংলাদেশ এডুকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (বিইআরএফ) এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর পর্ব দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়।