স্পোর্টস ডেস্ক: রোমাঞ্চের নানা মোড় ঘুরে ম্যাচের ভাগ্য গড়াল শেষ বলে। জয়ের জন্য স্কটল্যান্ডের দরকার ২ রান। ক্রিজে শেষ উইকেট জুটি। মার্ক অ্যাডায়ারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল ঠিকমতো খেলতে পারলেন না মাইকেল লিস্ক। তবে ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটকিপারকে ফাঁকি দিয়ে বল চলে গেল বাউন্ডারিতে। জয় নিশ্চিত হতেই ব্যাট তুলে হুঙ্কার ছাড়লেন লিস্ক, আলিঙ্গনে বাঁধলেন সতীর্থকে।
স্কটল্যান্ডের ড্রেসিংরুমেও তখন খুশির জোয়ার। সেটিই স্বাভাবিক। যেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচটি জিতল স্কটিশরা, অবিশ্বাস্য বললেও যেন কম বলা হয়! ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে বুধবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১ উইকেটে স্মরণীয় জয় পেয়েছে স্কটল্যান্ড।
বুলাওয়ায়োতে ২৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৩৪তম ওভারে ১৫২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল স্কটিশরা। ম্যাচ তখন আইরিশদের মুঠোয়। তাদের জয়টা মনে হচ্ছিল স্রেফ সময়ের ব্যাপার। সেখান থেকে অষ্টম উইকেটে মার্ক ওয়াটের সঙ্গে ৬৭ বলে ৮২ ও নবম উইকেটে সাফওয়ান শরিফের সঙ্গে ২৭ বলে ৫০ রানের জুটিতে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন লিস্ক।
শেষ ৪ ওভারে স্কটল্যান্ডের দরকার যখন ৪৪, জশ লিটলের একই ওভারে লিস্কের দুটি করে চার-ছক্কায় আসে ২২ রান।শেষ ওভারে দরকার ছিল ৮ রান। অ্যাডায়ারের প্রথম বলে চার মারেন লিস্ক, মিস ফিল্ডিং করেন হ্যারি টেক্টর। পরের বলে আসে ১ রান। তৃতীয় বলে ক্যাচ দিয়ে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন শরিফ। ৩ বলে চাই ৩।
চতুর্থ বল ব্যাটে লাগাতে পারেননি এগারো নম্বর ব্যাটসম্যান ক্রিস সোল। র্যাম্প শটের চেষ্টায় পরের বলেও ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি তিনি। তবে ‘বাই’ থেকে ১ রান নিয়ে স্ট্রাইকে যান লিস্ক। এরপর শেষ বলে তার ওই চার আর স্কটল্যান্ডের নাটকীয় জয়।
সাত নম্বরে নেমে ৬১ বলে অপরাজিত ৯১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে জয়ের নায়ক লিস্ক। ৯ চার ও ৪ ছক্কায় গড়া তার ইনিংসটি। ৪৭ বলে ৪৩ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলেন ওয়াট। ওপেনার ক্রিস্টোফার ম্যাকব্রাইডের ব্যাট থেকে আসে ৬০ বলে ৫৬ রান।
এর আগে ম্যাচের প্রথম ৩ বলে ২ উইকেট এবং ৭০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও আয়ারল্যান্ড তিনশর কাছাকাছি পুঁজি পেয়েছিল মূলত কার্টিস ক্যাম্পার ও জর্জ ডকরেলের দুর্দান্ত দুটি ইনিংসে। ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে ১০৮ বলে ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ১২০ রান করেন ক্যাম্পার। ৯৩ বলে ৬৯ রান করেন ডকরেল। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনের জুটিতে আসে ১৩৬ রান।
আইরিশদের সব প্রচেষ্টাই শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে গেল। বাছাইয়ে প্রথম দুই ম্যাচেই হারল তারা। আগের ম্যাচে তাদের ২৮১ রান তাড়া করে জিতে চমক দেখায় ওমান।