ফ্রান্সে নববর্ষের পার্টি রুখতে কারফিউ জারি করা হচ্ছে। এছাড়া দেশ জুড়ে মোতায়েন করা হচ্ছে এক লাখ পুলিশ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধেই এসব কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে ফরাসি সরকার। খবর বিবিসির।
ফ্রান্সে থার্টিফাস্ট-নাইটে গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। এ ধরণের কার্যকলাপ রুখতেও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে।
দেশটিতে মোট ২৬ লাখের বেশি করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যায় বিশ্বে পঞ্চম অবস্থানে আছে দেশটি। এছাড়া সেখানে করোনা সংক্রান্ত জটিলতায় মৃত্যু হয়েছে ৬৪ হাজারের বেশি।
মহামারির কারণে ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো ফ্রান্সও সীমিত পরিসরে নববর্ষ পালন করতে যাচ্ছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন শহরগুলোর কেন্দ্রে এবং উপশহরগুলোতে পরিস্থিতি বাজে দিকে যেতে পারে এমন জায়গাগুলোয় রাত ৮টা থেকে কারফিউ জারি করেছেন।
প্যারিসে অর্ধেক রেলপথ বিকেলে বন্ধ থাকবে। এছাড়া দেশ জুড়ে ব্যাপক মাত্রায় গণপরিবহন বন্ধের করতে ডারমানিন বিবেচনার অনুরোধ করেছেন।
যুক্তরাজ্যে পাওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ফ্রান্সেও পাওয়া গেছে। তবে সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এ মুহূর্তে স্থানীয়ভাবে লকডাউন আরোপের প্রয়োজন নেই। ফ্রান্সে এর আগে দু’বার লকডাউন দেয়া হয়েছিল। তবে বার, রেস্টুরেন্ট এবং সাংস্কৃতিক আকর্ষণের জায়গাগুলো জানুয়ারিতে বন্ধ থাকবে।
এক লাখ পুলিশ ও সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনের ব্যাপারটি ডারমানিন বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের আঞ্চলিক নেতাদের লিখিতভাবে জানিয়েছেন। আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টির খবর পেলে তা তাৎক্ষণিকভাবে ভণ্ডুল করে দিতে, জরিমানা করতে ও আয়োজকদের চিহ্নিত করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
টহলধারী পুলিশদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে যানবাহনের পরিচয় যাচাই করতে ও বিপজ্জনক কিছু আছে কিনা তা খোঁজ করতে। তরল দাহ্য পদার্থ ও মদ জাতীয় পানীয় বিক্রি না করতে দোকানগুলোকে অনুরোধ করেছেন ডারমানিন।