মনে হচ্ছে একসময়ের ক্ষমতাশীল ছাত্রসংগঠন ছাত্রদল, ছাত্রশিবির হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। তাই ছাত্রলীগের বর্তমান নেতাদের কাছে, ছাত্রলীগের সাবেক একজন হিসাবে আমার অনুরোধ, কাউকে নেতা বানানোর আগে অবশ্যই নিন্মোক্ত প্রশ্নগুলো করে দেখতে পারেন।
১. কোথা থেকে পড়ালেখা করেছো বা করছো? কত সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত?
২. তোমার এলাকায় ছাত্রলীগের সাবেক কয়েকজন নেতার সম্পর্কে বলো। উনারা কি তোমাকে চিনে? তোমার পরিবারের কেউ কি আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত?
৩. রোহিঙ্গাদের নিয়ে কিছু বলো। সাঈদি বা আজাহারি নিয়ে তোমার মতামত কি?
৪. পাকিস্থান দেশটাকে কেমন মনে হয়? ক্রিকেট খেলায় বা অন্য কোনভাবে পাকিস্থানকে কিভাবে দেখো?
৫. ভাস্কর্য স্থাপন বিষয়টি কিরকম মনে হয়? ভাস্কর্য আর মূর্তির মধ্যে কি কোন পার্থক্য আছে? পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা সম্পর্কে মতামত কি?
৬. কোঠা বিরোধী আন্দোলন সম্পর্কে কিছু বলো।
৭. বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কিভাবে দেখো?
>> ১ নং প্রশ্নের সাথে সাথেই পরিষ্কার হয়ে যাবে সে ছাত্র কিনা এবং আদৌ সে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছে কিনা বা সে উড়ে এসে জুড়ে বসা কিনা।
>> ২ নং প্রশ্নের মাধ্যমেই পরিষ্কার হয়ে যাবে তার এলাকায় তার অবস্থান ছাত্রলীগের পক্ষে কিনা, বা তার পরিবার প্রো আওয়ামীলাগ কিনা।
>> ৩ নং প্রশ্নের মাধ্যমেই পরিষ্কার হয়ে যাবে তার মধ্যে দূরদর্শিতা আছে কিনা এবং তার মধ্যে ধর্মান্ধতা কাজ করে কিনা।
>> ৪ নং প্রশ্নের মাধ্যমেই বুঝা যাবে তার মধ্যে কোন ধরনের পাকিপ্রীতি আছে কিনা।
>> ৫ নং প্রশ্নের মাধ্যমেই বুঝা যাবে সে প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক কিনা এবং সে মুক্তচিন্তা করতে পারে কিনা।
>> ৬ নং প্রশ্নের মাধ্যমেই পরিষ্কার হয়ে যাবে দুঃসময়ে সে সাথে থাকবে কিনা এবং তার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী মনোভাব আছে কিনা।
>> ৭ নং প্রশ্নের মাধ্যমেই স্পষ্ট হবে যে, স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতি তার কোন সিম্প্যাথি আছে কিনা।
বাছাই না করে অনেককেই তো জায়গা দেয়া হয়েছে। একবার বাছাই করেই দেখা যাক কি ফলাফল পাওয়া যায়।
আমার কথা হলো গণতান্ত্রিক এই দেশে প্রতিটা ব্যক্তিরই নিজস্ব অভিমত আছে। সে তার মতাদর্শ অনুযায়ী রাজনীতি করতে পারে। যে কোন দলের সাথেই রাজনীতি করার সাংবিধানিক অধিকার তার রয়েছে। কিন্তু, সে অন্য মতাদর্শের হয়ে কোন ভাবেই লাভবান হবার উদ্দেশ্যে যেনো ছাত্রলীগের নামটা ব্যবহার না করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করাই বর্তমান নেতাদের দায়িত্ব।
লেখক;এড, প্রবাল চৌধুরী পূজন
সাবেক সদস্য;বাংলাদেশ ছাত্রলীগ