নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ৩১ আগস্ট টেকনাফের বাহারছরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সামনে যে গাড়ি থেকে নামিয়ে মেজর (অবঃ) সিনহা মোঃ রাশেদ খানকে হত্যা করা হয়েছিলো সেই গাড়ি, সিনহার নিজের পিস্তল সহ ঘটনাস্থল থেকে জব্দকৃত সকল মালামাল র্যাব-১৫ এর সিনিয়র পুলিশ সুপার ও তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম কে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। আদালতের নির্দেশ পেয়ে কক্সবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয় হতে সিনহার নিজের গাড়ি সহ অন্যান্য মালামাল বুঝে নেন আইও।
এদিকে, টেকনাফ মডেল থানার গত ৩১ জুলাই রাত হতে পরবর্তী সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ সমুহ পেতে আদালতে আবেদন করেছেন আইও র্যাব-১৫ এর সিনিয়র পুলিশ সুপার ও তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। আদালত আবেদনটি শুনানির জন্য রেখেছেন বলে জানা গেছে।
গত ৩১ জুলাই খুন হওয়া মেজর (অবঃ) সিনহা মোঃ রাশেদ খানের বড়বোন ও মোঃ শামসুজ্জামানের সহধর্মিণী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস (৪২) বাদী হয়ে চাকুরী থেকে বরখাস্ত হওয়া প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলী, নন্দলাল রক্ষিত, সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া সহ ৯জনকে আসামী করে টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ৫ আগস্ট সকালে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। যার টেকনাফ থানার মামলা নম্বর : ৯/২০২০, জিআর মামলা নম্বর : ৭০৩/২০২০ ইংরেজি (টেকনাফ)। এছাড়া সিনহা হত্যাকান্ডের পর টেকনাফ মডেল থানায় পুলিশের দায়েরকৃত জিআর : ৫৯৬/২০২০, জিআর : ৫৯৭/২০২০, টেকনাফ মডেল থানার ১৯/২০২০ এবং রামু থানার জিআর : ৩১১/২০২০ ও বিবিধ ০১/২০২০ নম্বর মামলা ৫টিও বিজ্ঞ আদালতের আদেশে র্যাব-১৫ তদন্ত করছে।