নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডের দায় সমগ্র পুলিশ বাহিনীর ওপর বর্তাবে না বলে মনে করেন আইন-বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তিনি বলেন, বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা দিয়ে পুলিশের সামগ্রিক চিত্র মূল্যায়ন করা ঠিক হবে না। সম্প্রতি কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের মৃত্যুর ঘটনায় দেয়া প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মন্ত্রী বলেন, ঘটনাটি যে দুঃখজনক, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবু তদন্ত ছাড়া কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি অবগত আছেন। দ্রুততম সময়ে তদন্ত শেষ করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ‘এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তদন্তকাজ শুরু হয়েছে। সেনাপ্রধান, আইজিপি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি সিরিয়াসলি দেখা হচ্ছে। আশা করছি তদন্তে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে।’
‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং পুলিশের ক্রসফায়ার নিয়ে সমালোচনা আছে। সিনহা হত্যাকাণ্ডে পুলিশের ওপর মানুষের অনাস্থা বাড়ছে কি-না’—এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, সরকার বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করে চলছে। আমরা প্রতিটি ঘটনার তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নিচ্ছি। বিচ্ছিন্ন ঘটনা দিয়ে সামগ্রিক বিষয় মূল্যায়ন করা ঠিক হবে না। পুলিশের কেউ এ ঘটনায় দায়ী থাকলে অবশ্যই তার বিচার হবে। কিন্তু একজনের অপরাধের কারণে সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না।
সিনহা হত্যাকাণ্ডে ষড়যন্ত্র বা বাহিনীর মধ্যকার দ্বন্দ্বের বিষয়টিও উড়িয়ে দেন আইনমন্ত্রী। গত ৩১ জুলাই রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় ওঠে। পরে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর লিয়াকতকে প্রধান আসামি ও টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাসকে দ্বিতীয় আসামি করে আরও ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া। এরপর ওসি প্রদীপকে প্রত্যাহার করা হয়। বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার তদন্ত করছে র্যাব।