শাহিন আহমদ,সিলেট জেলা প্রতিনিধি:
সিলেট নগর ভবনের সামনে কেন্দ্রস্থলের মোড়টি ‘সিটি পয়েন্ট’ বলে ডাকা হতো। গত বছরের জুলাই মাসে সৌন্দর্যবর্ধন করে সিলেটের প্রতীকখ্যাত আলী আমজদের ঘড়িঘর ও বাসাবাড়ির আদি কাঠামোর আদলে একটি স্থাপনা সেখানে স্থাপন করা হয়। পরে সিসিক মেয়র স্থাপনা উন্মোচন করলে সেখানে ‘নগর চত্বর’ নামফলক লাগানো হয়।
পরবর্তীতে চত্বরটি সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) প্রথম নির্বাচিত মেয়র প্রয়াত বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের নামে ‘জনতার কামরান চত্বর’ করতে দাবি উঠে। এরপর ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতৃবৃন্দ চত্বরে ‘জনতার কামরান চত্বর’ নামে নামফলক স্থাপন করেন। দীর্ঘদিন পর সেই নামফলকটি দুর্বৃত্তরা খুলে ফেলে। বিষয়টি আবারও নজরে আসে ছাত্রলীগ নেতবৃন্দের। আবারও তারা উদ্যোগ নেন নামফলখ স্থাপনের। মঙ্গলবার (১১ মে) ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উধাও হওয়া স্থানে পূনরায় ‘জনতার কামরান চত্বর’ নামে নামফলক স্থাপন করেন।
গোলাম হাছান চৌধুরী সাজন নামের সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতা তার ফেসবুকে বিষয়টি প্রকাশ করেন। এতে তিনি লিখেন- ধন্যবাদ ছাত্রলীগের ভাইদের। খুলে ফেলা নেমপ্লেটটি আবারো ছাত্রলীগের ভাইয়েরা পুনরায় বসিয়েছ। কতোদিন এটি সিটি কর্পোরেশন পয়েন্টে থাকবে সিটি কর্পোরেশন এর দায়িত্বশীল মহোদয় জানেন। তবে, রাতের আধারে নেমপ্লেটি আপনি খুললে ফেললে জনতা বার-বার নেমপ্লেট লাগাবে। সিনিয়রদের দেখানো পথে হেঁটে দায়িত্বশীলতার উদাহরণ সৃষ্টি করলো ছাত্রলীগ। কৃতজ্ঞতা এবং ভালবাসা তোমাদের প্রতি।
জানা যায়, ২০২০ সালের ১৫ জুন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেটের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান করোনায় মারা যান। তিন দশকের বেশি সময় ধরে তৎকালীন সিলেট পৌরসভার চেয়ারম্যান, কমিশনার থেকে শুরু করে মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছিলেন কামরান। এই জনপ্রিয় নেতার মৃত্যুর পর নগর ভবনের সামনের চত্বরের নাম ‘কামরান চত্বর’ রাখার দাবি ওঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবির পাশাপাশি ভার্চুয়াল একটি সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন। বিগত দু’টি নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি নেতা আরিফুল হকের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের কামরান।