দৈনিক প্রত্যয় ডেস্ক: ৬ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও মোবারক মিয়ার কেটে ফেলা পা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। পায়ের ওই অংশ ছাড়াই অবশেষে তাকে দাফন করা হলো। শুক্রবার ভোররাত ৪টায় নামাজে জানাযা শেষে নবীনগরের কৃষ্ণনগরে হাজিরহাটি গ্রামে তাকে দাফন হয়। গত ১২ এপ্রিল দাঙ্গাবাজরা মোবারকের বাম পা গোড়ালির ওপরের অংশ থেকে কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করে। এরপর তারা কাটা পা হাতে নিয়ে আনন্দ মিছিল করে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারদিন পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত প্রায় দেড়টার দিকে মারা যান মোবারক। এরপর মরদেহে করোনা সংক্রমণ আছে কিনা এর পরীক্ষা শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এরপর রাতে লাশ তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
মোবারকের ডান পা’ও কুপিয়ে আলাদা করার চেষ্টা হয়। দুই হাত এবং পিঠেও বেশ কয়েকটি কোপ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন। বর্বরোচিত এঘটনা আলোচিত হয় দেশে-বিদেশে। নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রনোজিৎত রায় জানান, মোবারকের পরিবার এখনো কোনো মামলা দেয়নি।
এদিকে ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে দাঙ্গাবাজ দু’পক্ষের নেতাও রয়েছে। তবে সরাসরি মোবারককে কোপানোর সঙ্গে জড়িতদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ জানাচ্ছে, কাটা পা হাতে নিয়ে মিছিলকারী ১১/১২ জন রয়েছে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে।
এদিকে মোবারকের মৃত্যুর পর বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যান জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান। সংঘর্ষে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা ঘরবাড়ি প্রত্যক্ষ করা ছাড়াও তিনি মোবারকের স্ত্রী-পুত্রের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় পুলিশ সুপারেরর সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন, নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আহমেদ ও নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রনোজিৎ রায়।