নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈরি আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গিয়ে চার শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হওয়ায় বৃহস্পতিবার পর্যটকরা ফিরতে পারেননি। আটকেপড়া ৪ শতাধিক পর্যটকের মধ্যে কক্সবাজার থেকে ৩শ জনের ‘আমার বাজার’ নামে একটি দল তিন দিনের জন্য দ্বীপে ভ্রমণে যায় গত বুধবার। পর্যটকবাহী জাহাজ কর্ণফুলী এক্সপ্রেসে করে কক্সবাজার থেকেই সরাসরি সেন্টমার্টিন পৌছেন এসব পর্যটকরা।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি বৃষ্টি হতে পারে। এজন্য সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং নদীবন্দরের মধ্যে কিছু এলাকায় ২ এবং কিছু এলাকায় ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। লঘুচাপটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি এখন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুর আহমেদ বলেন, ভ্রমণে আসা সেন্টমার্টিনে চারশ জনেরও বেশি পর্যটক দ্বীপে আটকা পড়েছেন। তারা আজকে ফিরে যাবার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফিরতে পারেননি। বুধবার পর্যটকদের মাইকিং করে দ্বীপ ছাড়তে বলা হয়েছিল। অনেকে কথা শুনেননি।
তিনি জানান, হঠাৎ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে সকল নৌযানসহ জেলেদের সাগরে মাছ শিকারে না যেতে নিষেধ করা হয়েছে।তবে দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় সে বিষয়ে খোঁজ রাখা হচ্ছে। দ্বীপে পর্যটকরা নিরাপদে রয়েছেন উল্লেখ করে টেকনাফ মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান, সেন্টমার্টিনে আটকেপড়া পর্যটকদের খোঁজ-খবর রাখতে দ্বীপের পুলিশ ফাঁড়িকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্বীপের বাসিন্দা নুর মুহাম্মদ বলেন, সাগর উত্তাল ও বৈরি আবহাওয়ায় কক্সবাজার থেকে জাহাজ না আসায় দ্বীপে চার শতাধিক পর্যটক অবস্থান করছেন। এর মধ্যে গত বুধবার ৩’শ জনের একটি পর্যটক দল তিন দিনের ভ্রমণে আসেন সেন্টমার্টিনে। তবে পর্যটকরা বিভিন্ন হোটেল-মোটেলে নিরাপদে আছেন। সাগর স্বাভাবিক হয়ে গেলে পর্যটকরা ফিরে যাবেন। তাছাড়া সকাল থেকে দ্বীপে জড়োহাওয়া শুরু হয়।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সেন্টমার্টিনে আটকেপড়া পর্যটকরা যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে। বৈরি আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে পর্যটকরা ফিরবেন। এ দিকে কক্সবাজার থেকে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস নামে একটি পর্যটবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি ফেলেও এখন পর্যন্ত টেকনাফ থেকে কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি পায়নি।