স্পেনে অনিয়মিত অভিবাসীদের নিয়মিতকরণের দাবিতে র্যালি ও বিক্ষোভ করেছে দেশটিতে বসবাসকারী হাজারও অভিবাসী। শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক অভিবাসন দিবস উপলক্ষে এ কর্মসূচি দেয় প্রবাসীরা।
অভিবাসীদের অধিকার ও সুরক্ষা নিয়ে কাজ করে বাংলাদেশি মানবাধিকার সংগঠন ভাল্লিয়েন্তে বাংলাসহ ১৪টি সংগঠন সম্মিলিতভাবে পূর্বের ঘোষণানুযায়ী এ আন্দোলনের ডাক দেয়।
স্পেনের বিভিন্ন শ্রমিক ও মানবাধিকার সংগঠনের আমন্ত্রণে বাংলাদেশি মানবাধিকার সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন দে ভালিয়েন্তে বাংলার তত্ত্বাবধানে নয় দফা দাবি সংবলিত ব্যানার নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন।
র্যালিটি রাজধানী মাদ্রিদের লাভাপিয়েস, লেগাছপি, সান্তা মারিয়া হয়ে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র জিরো পয়েন্ট খ্যাত সলে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ করা হয়।
সমাবেশে অনিয়মিত অভিবাসীদের নিয়মিতকরণ, কন্টাক্ট ছাড়া ওয়ার্ক পারমিট, কৃষি কাজে নিয়োজিত অবৈধ প্রবাসীদের জন্য বিনাশর্তে ডিক্লারেশন ও কর্মসংস্থানসহ ৯টি দাবি তুলে ধরেন প্রবাসীরা। এ সময় আন্দোলনকারীদের নিয়ে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় ঐতিহাসিক ‘সল’ চত্বর।
কয়েক হাজার স্থানীয় অধিবাসীদের সঙ্গে উল্লেখযোগ্য প্রবাসী বাংলাদেশিরাও র্যালি এবং বিক্ষোভ-সমাবেশে অংশগ্রহণ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
দাবিগুলো হলো- অনিয়মিত অভিবাসীদের নিয়মিতকরণ, পুলিশি হয়রানি ও বর্ণবাদীদের বিদেশিদের ওপর নির্যাতন ও জুলুম বন্ধ, সবার জন্য দোভাষী উন্মুক্ত করা, গৃহকর্মীদের সমান শ্রমধিকার প্রদান, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, চিতা উন্মুক্ত করা, কাজের কন্টাক্ট ছাড়া রেসিডেন্স কার্ড প্রদান, কৃষি কাজে নিয়েজিত অবৈধ প্রবাসীদের জন্য বিনাশর্তে বৈধকরণ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডাবলিন চুক্তি বাতিল করে আশ্রয় প্রত্যাখান অভিবাসীদের আশ্রয় প্রদান করা।
স্প্যানিশ মানবাধিকার সংগঠন রেড সলিরিদাদের আকখিদা নিলেসের উপস্থাপনায় বক্তব্য দেন রেড ইন্টার লাভাপিয়েসের সভাপতি মারিয়া খসে তররেস পেরেজ পেপা, সেন্দাদে কুইদাদের কার্লুস মাইতে, তাবাকারোলা কার্লুস, বাংলাদেশি মানবাধিকার সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন দে ভালিয়েন্তে বাংলার সভাপতি মোহাম্মদ ফজলে এলাহী, শাওন আহমেদ, মো. জুলহাস, আলামীন পলোযানসহ বিভিন্ন সংগঠনের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা।
সমাবেশে স্প্যানিশ, বাংলাদেশি, মরক্কো, আফ্রিকান, সেনেগালসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসী শ্রমিক-জনতা অংশ নেন। র্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, গোটা বিশ্বের ন্যায় স্পেনে ও প্রবাসীদের ন্যায্য দাবিগুলো এখনও পূরণ হয়নি। এখনো প্রবাসীসহ স্থানীয় শ্রমিকরা মালিক পক্ষের কাছে শোষিত হচ্ছে। এসব বৈধ দাবি পূরণ করার জন্যই তারা রাজপথে নেমে এসেছেন।