নিজস্ব প্রতিবেদক: জার্মানভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, সম্প্রতি সরকারি মেডিকেলে ডাক্তারদের খাবারের ব্যয় নিয়ে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
তিনি বলেন, সেবার মান নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আগে থেকেই রয়েছে এবং স্বাস্থ্য খাতের এমন দুর্নীতি নতুন ঘটনা নয়। সম্প্রতি সরকারি এক মেডিকেলের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের খাবারের ব্যয় নিয়ে চরম অসঙ্গতি প্রকাশ পায়, যা নিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে প্রশ্ন তোলেন। ভয়াবহ এ দুর্নীতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয় ইফতেখারুজ্জামানের কাছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতের এমন দুর্নীতি নতুন কিছু নয় এবং তা বরাবর হয়ে আসছে। এবার বিষয়টি সংসদে আলোচনা হয়েছে এবং খোদ প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন। দুর্নীতির এমন বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যখন প্রশ্ন তোলেন, তখন তা খতিয়ে দেখা অপরিহার্য হয়ে দাঁড়ায়। কীভাবে খাবারে এমন বরাদ্দ এলো, কারা এর সঙ্গে জড়িত, সঠিক উপায়ে বরাদ্দ হয়েছিল কি না এমন প্রশ্ন এখন জনমনে। এসবের উত্তর খোঁজা জরুরি।
তিনি বলেন, একটি অভিযোগ উত্থাপিত হলেই আমি দোষী সাব্যস্ত করতে পারি না। সঠিক এবং নিরপেক্ষভাবে তদন্ত হোক। যারা অভিযুক্ত তাদেরও আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার আছে। তাদের সে সুযোগ দিতে হবে। বাস্তব এবং প্রকৃত ব্যয় নিয়ে সঠিক তদন্ত করতে হবে। ধামাচাপার তদন্ত করলে প্রকৃত দোষীরা ছাড় পেয়ে যাবেন এবং অন্য দুর্নীতিবাজরা উৎসাহিত হবে। অথচ চাইলে একটি ঘটনার বিচারের মধ্য দিয়ে আর দশটি দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব।