করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) ক্যাম্পাস। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে আবাসিক হলগুলোও। তবে আবাসিক হলে না থেকেও ভাড়া গুনতে হচ্ছে কুবি শিক্ষার্থীদের।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের কারণে ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো। এসময়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মেসের ভাড়া ৬০% ধার্য করলেও হলের সিট ভাড়া মওকুফ নিয়ে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২১ ডিসেম্বর থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়া শুরু হয়। এতে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার ফিসহ হলের সিট ভাড়া দিয়ে তারপর পরীক্ষা দিচ্ছেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ‘মেসের শিক্ষার্থীদের জন্য কুবি প্রশাসন ভাড়া কমানোর ব্যবস্থা করতে পারলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হলের সিট ভাড়া মওকুফের ব্যাপারে কেন নীরব তা তারা বুঝতে পারছেন না। অথচ মেস ভাড়া কমানোর সময় মালিকদের বুঝিয়ে ভাড়া কমাতে হয়েছে। এখন চাইলেই হলের সিট ভাড়া মওকুফ করে দিতে পারে’।
এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী এ জে রাব্বি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে মানবিকতার টানে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবে ব্যাক্তিমালিকানা মেসের ভাড়া অর্ধ-মওকুফ বা কিছু কিছু ক্ষেত্রে পূর্ণ মওকুফ করা হয়েছে। অথচ আবাসিক হলগুলোতেই এখনো সে উদ্যোগ নেয়া হয়নি। যারা সবাইকে পথ দেখালেন তারা নিজের বেলায় কিভাবে এতোটা উদাসিন হয় তা আমার জানা নেই। আশা করি প্রশাসন অচিরেই এই সমস্যার সমাধান করবেন’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো আবু তাহের বলেন, ‘এটা আহামরি কোনো বিষয় নয়। শিক্ষার্থীরা লিখিত আবেদন জানালে আমরা মওকুফের ব্যবস্থা করে দিব এবং ভিসি স্যারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলব’।