স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বকাপে প্রথম ৫টি ম্যাচ তো খেলতেই পারেননি তিনি। ইনজুরির কারণে চিকিৎসা নিয়েছেন দেশের মাটিতে। তবুও অস্ট্রেলিয়া তাকে বাদ দেয়নি। দলে রেখেছিলো। কেন রেখেছিলো, সেটা পরের পরিসংখ্যান দেখলেই বুঝে নেয়া সম্ভব।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ধর্মশালায় প্রথম ম্যাচ খেললেন বিশ্বকাপে। করলেন অসাধারণ এক সেঞ্চুরি। ১০৯ রান করে জিতিয়েছেন দেশকে।
সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সেই জিতলো অসিরা। ২ উইকেটের সঙ্গে ৬২ রান। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও তার হাতে। আর ভারতের বিপক্ষে ফাইনালের কথা বলাই বাহুল্য।
২৪০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেও যেখানে অস্ট্রেলিয়া ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলো, সেখানে তিনি খেললেন ১২০ বলে ১৩৭ রানের বীরোচিত এক ইনিংস। স্বাভাবিকভাবেই ফাইনালের ম্যাচ সেরা।
এটুকু পরিসংখ্যান দেখলেই যে কেউ রায় দিয়ে দেবেন, ট্রাভিস হেড মানেই, বড় বড় মঞ্চে ‘মাথা উুঁচু করে লড়াই করা এবং সাফল্য ছিনিয়ে আনা।’
সত্যিই তাই। ২০২১ সালে দেশের মাটিতে অ্যাশেজ অভিষেকে ১৪৮ বলে করেছিলেন ১৫২ রান। হলেন ম্যাচ সেরা। এরপর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে এই ভারতের বিপক্ষেই খেরলেন ১৭৪ বলে ১৬৩ রানের অনবদ্য ইনিংস। দলকে জেতালেন, হলেন ম্যাচ সেরা।
বিশ্বকাপ অভিষেকের পর ফাইনাল পর্যন্ত তো তার কীর্তগাথার কথা বলা হলোই। শুধু তাই নয়, ফাইনালে পেছন দিকে দৌড়ে গিয়ে রোহিত শর্মার যে অসাধারণ ক্যাচটি ধরেছিলেন তিনি, তাতে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচর বড় একটা টার্নিং পয়েন্টও ছিল ওই ক্যাচ।
হাত ভাঙার পরও যাকে রেখে দিয়েছিল দল, আজ তার হাত ধরেই বিশ্বকাপ ট্রফি যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়। এসব ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া ভুল করে না।
এই ট্রাভিস হেড যদি এ মুহূর্তে অবসর নিয়ে নেন, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ, অসাধারণ সাফল্য তো তার ঝুলিতেই যোগ করা। এই সাফল্য আজীবনের জন্য অটুট রাখতে অবসর নিয়ে ফেলাই যায়!