দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ যশোরের শার্শা উপজেলার ০৭ নং কায়বা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহমেদ টিংকু করোনাভাইরাস মোকাবেলায় যেভাবে কাজ করছেন তা হতে পারে যশোরসহ সারা দেশের জন-প্রতিনিধিদের জন্য একটি রোল মডেল।
শুরু থেকেই তিনি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারী সকল নির্দেশনা গুরুত্ব সহকারে মেনে চলবার পাশাপাশি বহি:বিশ্বের করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা ও সর্তকতামূলক কার্যক্রমগুলো বিচক্ষণতার সাথে আমলে নিয়ে তার বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেন।
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জনসাধারণের মাঝে সর্তকতামূলক কার্যক্রম ও লক ডাউনে কর্মহীন অসহায় দরিদ্রদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ সহ সবদিকেই খেয়াল রেখে নিরোলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহমেদ টিংকু।
অক্লান্ত পরিশ্রম করে দিনরাত ছুটে বেড়াচ্ছেন ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে বসবাসরত মানুষদের বাড়ি-বাড়ি, খেয়াল রাখছেন তাদের সুবিধা-অসুবিধার দিকটি। ইতিমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন জরুরী প্রয়োজন ছাড়া সবাইকে নিজ নিজ বাসায় থাকবার, জানিয়েছেন ফোন করলে প্রয়োজনে তাদের খাবার ও বাজার বাসায় পৌছে দেয়া হবে।
যারা কর্মহীন ও হতদরিদ্র তাদের জন্য পৌছে দিচ্ছেন চাল, ডাল, তেল, লবন আলু সহ নিত্য খাদ্য সামগ্রী। ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে বসবাসরত প্রতিটি নাগরিককে করোনাভাইরাস সম্পর্কে জানাতে নিজে লিফলেট বিতরণ করছেন, সংক্রমন রোধে বিলিয়েছেন প্রতিটি ঘরে ঘরে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, টিস্যু।
এখানেই শেষ নয় পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতায় ছোট-বড় সড়ক,পাড়া-মহলার অলি-গলি ড্রেন, হাট-বাজার সর্বত্রই নিয়মিত জীবানুনাশক স্প্রে করানোর কাজটি অব্যাহত রেখেছেন।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে ইতিমধ্যে তৈরী করেছেন করোনা ভাইরাস মোকাবেলা কমিটি। ৯টি ওয়ার্ডে সে কমিটি দায়িত্ব পালন করছেন সর্তকতার সাথে। সে কমিটির কাজ তদারকি করছেন তিনি নিজেই।
লক ডাউনের কারণে বেকার ও কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাবার পৌছে দিতে নিজ উদ্যোগে তৈরী করেছেন খাদ্য ভান্ডার। খাদ্য ভান্ডার থেকে চাল, ডাল, আলু, তেল ও লবন, সাবান সহ খাদ্যসামগ্রী প্যাকেট ভর্তি করে পৌছে দিচ্ছেন কর্মহীন, হত দরিদ্র বেকার পরিবার গুলোর মাঝে।
এ কাজের সহায়তায় সংযুক্ত করেছেন “হ্যালো চেয়ারম্যান” নামে একটা খাদ্য সেল। তিনি তার মোবাইল নাম্বার ইউনিয়নের সকলের মাঝে দিয়ে বলেন এখন থেকে যার বাড়িতে খাদ্য থাকবেনা তারা আমাকে এই নাম্বারে অর্থাৎ “হ্যালো চেয়ারম্যান” এর নাম্বারে কল দিলেই সরাসরি অথবা গোপনে তার বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে যাবে। এভাবে তিনি তার নিজস্ব তহবিল থেকে ইউনিয়নের কর্মহীন মানুষের চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছেন। তিনি একাজে তার নিজস্ব তহবিলকে কাজে লাগিয়েছেন এবং সম্পৃক্ত করেছেন স্বেচ্ছায় সহযোগিতায় এগিয়ে আসা আগ্রহীদেরকেও ।
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহমেদ টিংকু তার ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের জন-প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠন করেন ওয়ার্ড কমিটি। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করেন স্বেচ্ছাসেবক কমিটির কাজ তদারকি করেন ওয়ার্ডের জন-প্রতিনিধিরা।
একটি মনিটোরিং সেল সার্বক্ষণিক ওয়ার্ড কমিটির কাজসহ সব কাজ তদারকি করেন। সরেজমিনে কায়বা ইউনিয়নে ঘুরে এমনি কাজের ধরণ চোখে পড়ে। ৯টি ওয়ার্ড মেম্বরদের সাথে নিয়েই কাজ করছেন করোনা ভাইরাস মোকাবেলায়।
বিচক্ষণ এ জন-প্রতিনিধি বাসা-বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করলেও চলাচলে রাস্তার উপর নিদিষ্ট দুরত্ব বজায় রাখবার জন্য মার্জিন করে দিয়েছেন। লক ডাউনের কারণে বেকার ও কর্মহীনদের বাড়ি ভাড়া না নেওয়ার জন্য বাড়ির মালিকদের প্রতি অনুরোধ করছেন। কোন কারণে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে কিংবা জরুরী স্বাস্থ্য সেবা প্রয়োজন হলে সেটির ব্যবস্থাও রেখেছেন তিনি। থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডা: ইউসুফ আলীর সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখছেন এ বিষয়ে।
যশোরের শার্শা উপজেলার ০৭ নং কায়বা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহমেদ টিংকু জানান, সরকারী নির্দেশনা মেনে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সর্বাত্মক চেষ্টা করছি আমরা। ইউনিয়নের সবাইকে করোনা থেকে মুক্ত রাখাই জন-প্রতিনিধি হিসেবে আমার প্রধান কাজ। ওয়ার্ড মেম্বরদের সকলেই এ কাজে বিশেষ সহযোগিতা করছেন। মানুষের সেবা করাটাই আমার বড় কাজ। আমার পিতা আমাকে সেটাই শিখিয়েছেন। সমাজের সকলের উচিত একে অন্যকে সহযোগিতা করা। তবে সবার আগে আমাদের সবাইকে সর্তক হতে হবে করোনা সংক্রমন রোধে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ বাস্তবায়নে নিরোলস ভাবে কাজ করছেন এ চেয়ারম্যান। ইতিমধ্যেই মানবতার অনন্য রোল মডেল হিসেবে যশোরের সর্বমহলে নিজ গুণের পরিচিতি মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন শার্শা উপজেলার ০৭ নং কায়বা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহমেদ টিংকু।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন