বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সকল ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা শুরু হওয়ার ২দিন পর আদালতের আদেশে নৌকার প্রতীক বরাদ্দ পেলেন ২১নং ঢোলারহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী অখিল চন্দ্র রায়। হাইকোর্টে দায়েরকৃত রিট মামলার আদেশে প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ায় তাকে শুক্রবার সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো: রেজাউল ইসলাম। চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ৭ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
গত ২৯ নভেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে ঋণ খেলাপির অভিযোগে ২১ নং ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মনোনীত প্রার্থী অখিল চন্দ্র রায়ের প্রার্থীতা বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম। ওই আদেশের বিরুদ্ধে প্রার্থী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার বরাবরে আপিল করেন। গত ৫ ডিসেম্বর বিকেলে আপিল শুনানিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া রায় বহাল রাখেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম।
উপায়ান্তর না পেয়ে মহামান্য হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন প্রার্থী অখিল চন্দ্র রায়। মহামান্য হাইকোর্ট বেঞ্চ নৌকার প্রার্থী অখিল চন্দ্র রায়ের মনোনয়ন ঋণখেলাপির অভিযোগে বাতিলের আদেশ অবৈধ ঘোষনা করেন। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ তার প্রার্থীতা বহাল রেখে রায় দেন এবং ওইদিন বিকালেই হাইকোর্টের রায়ের কপি জেলা নির্বাচন অফিসে পাঠানো হয়। এর ফলে অখিল চন্দ্র রায়ের নির্বাচন করতে সকল প্রকার বাঁধা উঠে যায়।
প্রার্থী অখিল চন্দ্র রায় ২০১৪ সালে ঠাকুরগাও জেলার জনতা ব্যাংক লি: রুহিয়া শাখা হতে ৫০ হাজার টাকা চাকুরিজীবি ঋণ গ্রহন করেন।মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি ঋণ পরিশোধ করেন নি। ২৮ নভেম্বর তিনি সুদাসল সহ প্রায় ৯৫ হাজার টাকা ব্যাংকে পরিশোধ করেন। এ ব্যাপারে প্রার্থী অখিল চন্দ্র রায় বলেন, আমি ঋনের টাকা পরিশোধ করেও রিটার্নিং অফিসার আমার মনোনয়ন বাতিল করে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাও একই আদেশ বহাল রাখে।অবশেষে আমি মহামান্য হাইকোর্টে রিট মামলা করে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছি। এ কারণে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা শুরু করতে আমার কয়েকদিন দেরি হয়েছে। তারপরও আশা করছি আমি নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হব।