1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

২০৩০ সালের মধ্যেই চাঁদে মানুষে বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা ESA

  • Update Time : রবিবার, ২১ মার্চ, ২০২১
  • ২৫৪ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ESA) জানায়, তারা থ্রিডি প্রিন্টারে মুন ভিলেজ তৈরির পরিকল্পনা করছেন পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদে। ইতালীয় ইএসএ নভোচারী সামান্থা ক্রিস্টোফোরেটি চাঁদের ভবিষ্যত মিশন নিয়ে গবেষণা করছেন। ইএসএ পুনরায় সামান্থা ক্রিস্টোফোরেটিকে মহাশূন্যে স্থাপিত স্টেশনে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।

শুক্রবার ২৬ শে ফেব্রুয়ারী ইএসএর সদর দফতর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে একথা জানানো হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ৩রা মার্চ ইউরোপ ও বিশ্বের বিভিন্ন বড় সংবাদ সংস্থাকে এক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেদিন ইতালীয় ইএসএ নভোচারী সামান্থা ক্রিস্টোফোরেটির দ্বিতীয় মহাকাশ স্পেস স্টেশনে ভ্রমণের তারিখ ও সময় এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ইএসএ।

সামান্থার জন্য এটি দ্বিতীয় স্পেস ফ্লাইট হবে। তিনি ২০১৪-১৫ সালে তাঁর প্রথম মহাকাশ মিশন ‘ফুটুরা’ চলাকালীন সময়ে স্পেসে ২০০ দিন অতিবাহিত করেছিলেন। তখনকার সেই মিশনে যার নাম্বার ছিল ৪২/৪৩,তিনি সেই মিশনের একজন ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং চাঁদে অভিযানের কার্যক্রম পরিচালনা করেছিলেন। তিনি ২০০৯ সাল থেকে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির একজন নভোচারী হিসাবে নিবন্ধিত হয়েছেন।

পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তনের পরে, সামান্থা স্পেনশিপ ইএসি নেতৃত্বে ছিলেন, জার্মানির কোলোনে ইএসএর ইউরোপীয় অ্যাস্ট্রোনাট সেন্টার (ইএসি) ভিত্তিক শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক উদ্যোগে চাঁদে ভবিষ্যতের মিশনের প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জগুলিতে মনোনিবেশ করেছিলেন। তিনি চাঁদের কক্ষপথে একটি স্পেস স্টেশন স্থাপনের জন্য গেটওয়ে প্রকল্পে ইএসএর ক্রু প্রতিনিধি ছিলেন এবং বিশ্বের একমাত্র আন্ডার রিসার্চ স্টেশন অ্যাকোরিয়াসে ১০ দিনের থাকার জন্য নাসার ২৩ তম চরম পরিবেশ মিশন অপারেশনস (NEEMO23) মিশনের ক্রুদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ২০১৯ সালে।

আরও পড়ুন৮০০ বছর পর জাগ্রত আইসল্যান্ডের আগ্নেয়গিরি

ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি বলেন,আমাদের ইতালিয় নভোচারী Samantha Cristoforetti এখন তার দ্বিতীয় মহাকাশ মিশনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং এবারের মিশনেরও মূল উদ্দেশ্য চাঁদের আকাশে স্থায়ী স্টেশন স্থাপনসহ ভবিষ্যতে চাঁদে মানুষের বসতি স্থাপনের বিষয়েই। তিনি এবারকার মিশনে কতদিন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে থাকবেন,তা ESA কর্তৃপক্ষ আগামী ৩ রা মার্চ বিস্তারিত জানাবেন। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন, বা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন একটি বিশাল মহাকাশযান, যা পৃথিবীর কক্ষপথে পরিভ্রমণ করছে। এটি পৃথিবী থেকে ২৪০ মাইল উপরে ভেসে বেড়াচ্ছে। মহাকাশচারীদের জন্য বাসস্থান হিসেবে ব্যবহার হয় এই মহাকাশযানটি। এই মহাকাশযানে ছয়জন স্পেস-ক্রু ছাড়াও মহাকাশে অতিথি অভ্যর্থনার ব্যবস্থা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, রাশিয়া,ইইউ সহ মোট ১৫ টি দেশের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল এই ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন। আন্তর্জাতিক সমঝোতার অংশ হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনকে মানব সভ্যতার একটি অনন্য অর্জন বলে গণ্য করা হয়। এটি ১৯৯৮ সালের ২০ নভেম্বর মহাকাশে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করা হয়। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন মহাকাশে মানবজাতির একটি ফাঁড়ি বা অস্থায়ী স্টেশন। এটি একটি ইঞ্জিনিয়ারিং মার্ভেল, শান্তিপূর্ণ ও ফলপ্রসূ আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জায়গা, ওজনহীনতায় বিজ্ঞানের জন্য নিবেদিত একটি আন্তঃবিষয়ক পরীক্ষাগার।

Samantha Cristoforetti ইতালির একটি দৈনিকে এক সাক্ষাৎকারে আসন্ন মিশন সম্পর্কে বলেন, “মহাকাশে অবিচ্ছিন্নভাবে মানুষের উপস্থিতি প্রতিষ্ঠায় এটি আমাদের প্রথম ব্যাপক ও বিশাল পদক্ষেপ। আমরা চন্দ্র কক্ষপথে স্থায়ী মানব পরিকাঠামো নিয়ে এই দশকের পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য যেমন প্রস্তুতি নিচ্ছি, আমি বাড়ি থেকে দূরে আমার বাড়ি আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ফিরে যেতে পেরে আমি শিহরিত ও গর্বিত। ”                    তথ্যসূত্র: ESA

আরও পড়ুনঅস্ট্রিয়ায় করোনার নতুন হটস্পট স্কুল ১,০১৫ শিশু করোনায় আক্রান্ত

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..