দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তের ভারত ভূ-খণ্ড থেকে মহিষসহ বিএসএফ’র হাতে আটক ৫ বাংলাদেশি রাখালকে ভারতের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে তাদের ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
আটক বাংলাদেশি মহিষ পাচারকারী রাখালদের মধ্যে রয়েছে- দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ঠোটারপাড়া গ্রামের নাদের আলীর ছেলে মিঠন আলী (২৫), বগমারী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে লিটন আলী (৩০), আলিম উদ্দিনের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৮), চরপাড়া গ্রামের উকিল মন্ডলের ছেলে বাগু মন্ডল (৫০) ও জীবন সরকারের ছেলে আনন্দ সরকার (২৫)।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে ভারতের বাউশমারী সীমান্ত থেকে তাদের আটক করে বিএসএফ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ৮ জনের একদল বাংলাদেশি রাখাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে ভারত থেকে চোরাই পথে বাংলাদেশে মহিষ পাচার করছিলো। এ সময় ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী থানার ১৪১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধিনস্থ বাউশমারী ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা মহিষ পাচারকারীদের ধাওয়া দেয়। পরে মহিষসহ বাংলাদেশি ৫ রাখালকে আটক করে তারা।
তবে বিএসএফ’র ধাওয়া খেয়ে বাংলাদেশের দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চল্লিশপাড়া সীমান্ত এলাকার সিরাজ, আশিক ও বিপ্লব পালিয়ে আসে।
আটকের খবর পেয়ে ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনস্থ রামকৃষ্ণপুর বিওপি কমান্ডার বাংলাদেশিদের ফেরত চেয়ে বাউশমারী ক্যাম্পের বিএসএফ’র কাছে পত্র প্রেরণ করে। শুক্রবার সকাল ১০টায় পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ১৫৭/৫-এস সীমান্ত পিলার সংলগ্ন বাউশমারী-মোহাম্মদপুর সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয় পতাকা বৈঠক।
১৩ সদস্যের বিএসএফ’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী থানার ১৪১ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন অধিনস্থ বাউশমারী ক্যাম্পের অধিনায়ক এসি বিমল কুমার। ৮ সদস্যের বিজিবি’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনস্থ মহিষকুন্ডি কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার জাহাঙ্গীর আলম। মাত্র ১০ মিনিটের পতাকা বৈঠকে বিএসএফ’র হাতে আটক বাংলাদেশি রাখালদের ভারতের জেলহাজতে প্রেরণের কথা জানানো হয়।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন