ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী কর পরিশোধ করে নির্দিষ্ট পরিমাণ স্বর্ণ আমদানি করলে খরচ ও হয়রানি কম হওয়ায় বেশকিছু জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা এ পথ বেছে নিয়েছেন। বাণিজ্যিকভাবে স্বর্ণ আমদানির চেয়ে ব্যাগেজের মাধ্যমে স্বর্ণ আমদানির কৌশলে হাঁটছেন অনেকে।
স্বর্ণ আমদানিতে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকার ২০১৮ সালে নীতিমালা করলে বাণিজ্যিকভাবে স্বর্ণ আমদানির সুযোগ তৈরি হয়। শুল্ক বিভাগের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের বাজারে স্বর্ণ প্রবেশ করছে এর শুল্ককর দিচ্ছে এরপরও স্বর্ণের একটি বড় অংশ চোরাচালানকারীদের হাতেই যাচ্ছে। আইনগতভাবে বৈধ হওয়ায় এসব স্বর্ণ আটক করা সম্ভব হচ্ছে না। ব্যাগেজ রুলসে স্বর্ণ এনে বিমানবন্দরের বাইরে এসে বাহক পরিবর্তন হচ্ছে। ইস্যুটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অবহিত করেছে ঢাকা কাস্টম হাউজ।
এনবিআরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বছরের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই তিন মাসে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়ে দেশে ১ হাজার ৩৫৮ কেজি স্বর্ণ প্রবেশ করে, যার দাম প্রায় ৮১৫ কোটি টাকা। কেবল ডিসেম্বরেই ঐ বিমানবন্দর দিয়ে এসেছে আগের তিন মাসের প্রায় সমান (১ হাজার ৩১৩ কেজি) স্বর্ণ।
ঢাকা কাস্টম হাউজ সূত্র জানিয়েছে, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যাগেজ রুলসে ১ হাজার ৮৫০ কেজি স্বর্ণ প্রবেশ করে। এসব স্বর্ণের মধ্যে স্বর্ণালংকার তেমন ছিল না। প্রায় সবই স্বর্ণের বার।
ব্যাগেজ রুলসের নিয়ম অনুযায়ী, যাত্রীরা বৈধ পথে ২৩৪ গ্রাম স্বর্ণ বা দুটি বার (প্রায় ২০ ভরি) সঙ্গে নিয়ে আসতে পারেন। যার শুল্ককর ৪০ হাজার টাকা। আর নারী যাত্রীরা ১০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার করমুক্ত উপায়ে আনতে পারেন। একজন যাত্রী কতবার এই সুযোগ নিতে পারবেন, আইনে এ বিষয়ে কিছু বলা নেই।
ঢাকা কাস্টম হাউজের কমিশনার মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ব্যাগেজ রুলসের নিয়ম অনুযায়ী কোনো যাত্রী কর পরিশোধ করে নির্দিষ্ট পরিমাণ স্বর্ণ নিয়ে আটকানো যাচ্ছে না। আইনে এটি বৈধ। তবে বিষয়টি এনবিআরকে অবহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : জর্দা ব্যবসায়ী কাউছ মিয়া মুজিববর্ষের সেরা করদাতা