ওয়েব ডেস্ক: চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন তাদের ৭৩ শতাংশই টিকা নেননি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, সরকারিভাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। যারা টিকা নিচ্ছেন না তাদেরই মৃত্যু বেশি হচ্ছে। ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সীদের মধ্যে মৃত্যুহার বেশি।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব তথ্য জানান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে ৯ লাখ ৮৭ হাজার ১৯৪টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্ত হয় ২ লাখ ১৩ হাজার ২৯৪ জন। বছরের প্রথম মাসে করোনায় মারা যান ৩২২ জন।
ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের ৫৭টি দেশে ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্টে (উপধরন) শনাক্ত হয়েছে। এ সাব-ভ্যারিয়েন্ট বেশি সংক্রামক। তাই আত্মতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না। সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা যেন না বাড়ে সেজন্য সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, জানুয়ারিতে ২ লাখ ১৩ হাজার ২৯৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। কাজেই সংখ্যার বিচারে রোগীর সংখ্যা বহুলাংশে বেড়েছে। এভাবে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলে দেশের গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি হবে।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় ৩১ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ১৫৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ২৯ দশমিক ১৭ শতাংশ। মহামারি শুরুর পর থেকে করোনায় এ পর্যন্ত দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৮ হাজার ৪২৫ জন এবং শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৮ লাখ ১১ হাজার ৯৮৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৯৩৪ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওই বছরের শেষ দিকে সংক্রমণ কিছুটা কমলেও গত বছরের এপ্রিল থেকে জুন-জুলাই পর্যন্ত করোনার ডেল্টা ধরন ব্যাপক আকার ধারণ করে। বছরের শেষ কয়েক মাস পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল থাকলেও এ বছরের শুরু থেকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টসহ করোনার বিস্তার আবারও বাড়তে থাকে।