1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

বেসরকারি রকেটে মহাকাশ পানে নাসার নভোচারীরা

  • Update Time : রবিবার, ৩১ মে, ২০২০
  • ২২২ Time View
ছবি: নাসার ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত

প্রত্যয় ডেস্ক: টেক বিলিয়নিয়ার এলন মাস্কের মালিকানাধীন বেসরকারি রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স নাসার দুই নভোচারীকে কক্ষপথে পাঠিয়েছে। দুই নভোচারী ডগ হার্লি এবং বব বেনকেন শুধু নতুন একটি ক্যাপসুল ব্যবস্থাই পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করছেন না বরং তারা নাসার জন্য নতুন একটি ব্যবসায়িক মডেলের সূচনা করতে যাচ্ছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেই শনিবার এ উড্ডয়ন করা হয়।

হার্লি এবং বেনকেন যে যানটিতে করে মহাকাশে গেলেন সেই ড্রাগনকে নিয়ে ঠিক সময়েই ভূপৃষ্ঠ ত্যাগ করে ফ্যালকন-৯ রকেট। আবহাওয়াবিদরা বলেছিলেন, ফ্লোরিডার কেনেডি মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উড্ডয়নের সময় অনুকূল অবস্থা বজায় থাকার সম্ভাবনা ৫০-৫০। কিন্তু ভাগ্য সহায় থাকায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকার সুযোগটি লুফে নেয় স্পেসএক্স কন্ট্রোলাররা।

মহাকাশ স্টেশনের বিখ্যাত ৩৯-এ প্যাড থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে আটলান্টিকের দিকে উড্ডয়ন করে। আড়াই মিনিট পর মহাকাশ যানটির নিচের অংশ আলাদা হয়ে সাগরে থাকা একটি ড্রোন জাহাজে অবতরণ করে। আর এর মাত্র ছয় মিনিট পর আরোহীরা নিরাপদে কক্ষপথে প্রবেশ করে। হার্লি এবং বেনকেনের রোববার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এর মাঝে তারা ক্যাপসুলে থাকা কিছু যন্ত্রপাতি এবং প্রক্রিয়া পরীক্ষা করে দেখবেন। যার মধ্যে কিছু ফ্লাইং ম্যানুয়ালও রয়েছে। যদিও ড্রাগন ক্যাপসুলটি পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় এবং এটি নিজে নিজেই পথ খুঁজে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছাতে সক্ষম, তবুও অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতিতে তৈরি থাকতে এটি কীভাবে হাতে চালানো যাবে সেটি জানাটাও জরুরি। বিশেষ করে ড্রাগনে কোন কন্ট্রোল স্টিক নেই, সব ধরনের উড্ডয়নের নির্দেশনা একটি টাচস্ক্রিন প্যানেলের মাধ্যমে দিতে হবে।

কক্ষপথে নভোচারীদের প্রথম কাজটি হবে তাদের মহাকাশযানটির একটি নাম দেওয়া মঙ্গলযাত্রা থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের অতীতের মহাকাশচারীদের ঐতিহ্য অনুযায়ী এ রীতি চলে আসছে। পৃথিবীতে রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে এর নাম ‘এনডেভার’ বলে ঘোষণা করা হবে। হার্লি এবং বেনকেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কতদিন থাকবেন সেটি এখনও নির্ধারিত হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে যে এক থেকে চার মাসের মতো তারা সেখানে থাকবেন। আশা করা হচ্ছে যে আটলান্টিকে তাদের ফিরে আসাটাও উড্ডয়নের মতোই ঝামেলাহীন হবে এবং সেটি নিশ্চিত করতে নাসা ও স্পেসএক্স একযোগে কাজ করবে।
এ বিষয়ে এলন মাস্ক বলেন, আমার মনে হয় এটা এমন একটা কাজ যা মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে, বিশেষ করে তাদের যাদের অনুসন্ধানী আত্মা রয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে এমন অনুসন্ধানী আত্মাদের সূতিকাগার।

স্পেসএক্সের নতুন এই সক্ষমতা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কর্মী পরিবহনে রাশিয়ার রকেট এবং ক্যাপসুলের ওপর নাসার নির্ভরতা কমাবে বলে মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। উৎক্ষেপণ দেখতে ফ্লোরিডায় গিয়ে তিনি বলেন, কক্ষপথে আমাদের নভোচারীদের পৌঁছাতে অন্য দেশের দয়ার ওপর ছেড়ে দিয়েছিলেন অতীতের নেতারা। কিন্তু আর নয়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..