জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির উদ্দেশে জয় বলেছেন, ‘আপনারা সত্যকে তুলে ধরেন, সত্যকে সত্য বলুন। কিন্তু তথাকথিত ছাত্র সংগঠনের (ছাত্রদল) অছাত্রদের মায়াকান্না দেখে নিউজ করবেন না। আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির অনেকে.. ফার্স্ট ইয়ার, সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে… তারা ছাত্রলীগকে নিয়ে নিউজ করে। তাদের বলছি, সুশৃঙ্খল ছাত্র সংগঠনকে মিথ্যা অপবাদ দেবেন না।’
আজ রোববার (২৯ মে) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের ওপর বহিরাগত ছাত্রদল ক্যাডারদের সশস্ত্র হামলার প্রতিবাদে এবং সকল শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মানববন্ধন’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সাংবাদিকদের সমালোচনায় তিনি বলেন, ‘আপনারা কিছু হলেই ছাত্রলীগকে নিয়ে নিউজ করেন। আপনারা আমাদের খারাপ দিকগুলো নিয়ে লিখেন, আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু ছাত্রলীগ হামলা করেছে- এমন ঢালাওভাবে অভিযোগ করবেন না।’
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করায় তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ারও আহ্বান জানান জয়।
তিনি বলেন, ‘যারা ক্যাম্পাসে এসে বঙ্গবন্ধুকে, বঙ্গবন্ধু কন্যাকে নিয়ে কটূক্তি করে, তাদের ক্যাম্পাসে আসার দরকার নাই। ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে রাজনীতি করুক তারা।’
ছাত্রদলের সমালোচনায় আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের গুলি করে মারা হত, ভয় দেখানো হত। শিবিরকে নিয়ে রগকাটা রাজনীতি করত। প্রতিটি ক্যাম্পাসে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করত।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে দাবি করে ছাত্রলীগ সভাপতি জয় বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে আজকে ক্যাম্পাসে অস্ত্রের ঝনঝনানি নেই। এখন আর অস্ত্রের শব্দে শিক্ষার্থীদের লাফিয়ে উঠতে হয় না। সুন্দরভাবে ঘুমিয়ে সকালে ক্লাসে যেতে পারে। শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের হাতে বই-খাতা তুলে তুলে দিয়েছেন। সেই অস্ত্রই হল হাতিয়ার।’
ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এবং ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন । এ মানববন্ধনে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন হল, ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, হোম ইকোনমিকস কলেজসহ রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্রলীগের সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।